You are currently viewing নির্বচনের দিন ৬৮ হাজার গ্রামে গণকার্ফ্যু হবে-শেখ হাসিনা
জাতীয় নির্বাচন

নির্বচনের দিন ৬৮ হাজার গ্রামে গণকার্ফ্যু হবে-শেখ হাসিনা

জাতীয় নির্বাচন

কাগজ প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি জনসাধারণকে ঘর থেকে বের না হওয়া এবং ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ১৫ তারিখ দেশের ৬৮ হাজার গ্রামে গণকার্ফ্যু হবে। কোনো ভোটার ভোট কেন্দ্রে যাবেন না এবং কোনো’ লোক ঘর থেকে বের হবেন না। তিনি গতকাল সোমবার বিকেলে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি একদলীয় নির্বাচন বাতিলের দাবিতে অনুষ্ঠিত কপশাজীবী, সাংস্কৃতিসেবার ছাত্র-যুবক ও মুক্তিযোদ্ধাদের যৌথ সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। জাতীয় নির্বাচন ২০২৩

সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধি হিসেবে অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, ৬. ম. আখতারুজ্জামান, অধ্যক্ষ আবদুল আহাদ চৌধুরী, এম আর আখতার মুকুল, ভা. সৈয়দা ফিরোজা বেগম, মেজর জেনারেল (অবঃ) সি আর দত্ত, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী, ড. নীলিমা ইব্রাহিম, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, এডভোকেট শামসুল হক চৌধুরী, কৃষিবিদ মনিরুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা আবুল বাশার, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, নাটাব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান এবং সাংস্কৃতিক জোট নেতা গোলাম কদ্দুস বক্তৃতা করেন। সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সামাদ আজাদ, সাজেদা চৌধুরী, জিল্লুর রহমান, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়েদুল কাদের।

জাতীয় নির্বাচন
জাতীয় নির্বাচন

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের কাছে তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। ফলে সব শ্রেণী-পেশার লোক এই প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করেছে। এই নির্বাচনে ভোট দিয়ে কেউ তার ভোট নষ্ট করতে চায় না। তিনি বলেন, প্রহসনের এই নির্বাচনের ফলাফলের লিস্ট করাই আছে শুধু ঘোষণা দেওয়া বাকি। ভোটার পরিচয়পত্র সম্পর্কে তিনি বলেন, সচিব ইরশাদুল হক ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ৩০০কোটি টাকা লুটপাট করে খেয়েছে। আইডি কার্ড করতে পারে নাই। ১৫ তারিখের পরে তাদের সমুচিত শিক্ষা দেওয়া হবে’ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ তারিখের পরে বাংলার জনগণ কাদের দেখিয়ে দেবে তাই আমরা দেখবো।’ তিনি বলেন, ১৫ তারিখে যে সরকারের ঘোষণা দেওয়া হবে তা হবে অবৈধ সরকার। যারা হুমকি ধমকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে ভোলার জন্য জনগণের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ তারিখে যাদের নাম এমপি হিসেবে ঘোষণা করা হবে জনগণ তাদের ভোটচোর ঘোষণা করে চোরের যে শান্তি, তাই তাদেরকে দেবে। হুমকি ধমকি দিয়ে, পুলিশ-বিডিআর উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ভোট চুল্লির খেলায় আপনারা কোনোভাবে অংশ নেবেন না। কোনো ভোট কেন্দ্রে ছবি তুলতে যাবেন না, গিয়ে জনতার রুদ্ররোষে পড়লে তার দায়দায়িত্ব আপনাদেরই থাকবে। সরকারি কর্ম- কর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা নির্বাচনের কোনো কাজ করবেন না

এতে আপনাদের কোনো ক্ষতি হলে সমাবেশের অন্য বক্তারা ১৫ ফেব্রুয়ারির একদলীয় নির্বাচনে নিজেদের কোনোভাবে সম্পৃক্ত না করার ঘোষণা দেন। তারা বলেন, সংবিধানের দোহাই দিয়ে সরকার যা খুশি তাই করবেন তা মেনে নেওয়া যাবে না। বক্তারা ১৫ ফেব্রুয়ারির একদলীয় নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সব দলের অংশ-