You are currently viewing চোখ ভালো রাখার উপায়-চোখ ভালো রাখার খাবার- এবং চোখের ব্যায়াম
চোখ ভালো রাখার উপায়-চোখ ভালো রাখার খাবার- এবং চোখের ব্যায়াম

চোখ ভালো রাখার উপায়-চোখ ভালো রাখার খাবার- এবং চোখের ব্যায়াম

চোখ মানবজীবনের এক অমূল্য সম্পদ। চোখের মাধ্যমেই আমরা সবকিছূ দেখে থাকি। যার চোখ নেই তথা অন্ধ সেই বুঝে চোখ মানে একটা জগত।চোখ ছাড়া পৃথিবী সারাজীবনের জন্য অন্ধকার। তাই আমাদের চোখ থাকবে এর যত্ন নেয়া উচিত। আমাদের জানা উচিত
চোখ পরিষ্কার রাখার উপায় , চোখ ভালো রাখার খাবার কি? আমাদের যাতে ডাক্তারের সরনাপন্ন না হতে হয় এজন্য আগে থেকেই চোখ ভালো রাখার ঘরোয়া উপায় জানা উচিত।

চোখ ভালো রাখার উপায়

১) পর্যাপ্ত আলোতে পড়া-লেখা, অন্যান্য ক্ষুদ্র ও সুক্ষ কাজ করা উচিত।

২) চোখ থেকে বই পড়ার টেবিলের দূরত্ব ১ থেকে ২ ফুট এর সমপরিমাণ হওয়া উচিত।

৩) ধুলা-বালি, ধোঁয়া, ওয়েল্ডিং মেশিনের রশ্মি চোখের জন্য ক্ষতিকর।

৪) স্কুলে যাবার পূর্বে প্রত্যেক শিশুর চোখ পরিক্ষা করা উচিত।

৫) প্রত্যেক বছর অন্তত একবার চোখের প্রেসার ও গ্লুকোমা পরিক্ষা করা উচিত।

৬) পড়া-লেখা করার সময় মাথা ব্যাথা করলে অভিজ্ঞ চক্ষু ডাক্তার দ্বারা পরিক্ষা করা উচিত।

৭) পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ দুলে চোখ ভালো থাকে।

৮) যে কোন বয়সেই চোখে ছানি হলে অপারেশন করে লেন্স বসানো উচিত।

৯) পরিমিত ও নিয়মিত সবুজ শাক সবজি , গাজর, মিষ্টিকুমড়া, ডিম ইত্যাদি খাওয়া উচিত।

১০) দীর্ঘদিন অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ চোখের জন্য ক্ষতিকর।

চোখে ওষুধ ব্যবহারের নিয়মাবলিঃ

১) ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ ব্যবহার করবেন। কোন মতেই নিজের ইচ্ছা মতো ওষুধের মাত্রা কম বেশি করেন না।

২) একজনের ঔষধ ভুলেও অন্যজন ব্যবহার করবেন না।

৩) নিজের ইচ্ছা মতো কোন ঔষধ ব্যবহার করবেন না। কারণ চোখের ঔষধ পিদজনক, এর যথাযথ ব্যাবহর না হলে চোখ অন্ধত্বের কারন হতে পারে।

৪) একাধিক ফোঁটা জাতীয় ঔষধ একচোখে দেয়ার পর অন্য চোখে অন্য ঔষধ অন্তত ৫ মিনিট পর ব্যাবহার করবেন। কেন না একাধিক ওষুধের সংমিশ্রণে আন্তক্রিয়া বা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল নাও পেতে পারেন।

৫) চোখে ফোটা/মলম দেয়ার সময় বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে বা মাথা কাত করে রাখবেন। চোখের নিচের পাতা হালতা টেনে ধরে ফোটা বা মলম ওষুধ লাগাবেন।

৬) ওষুধ দেয়ার সময় কোন অবস্থায় চোখের উপরের পাতায় চাপ দিবেন না।

৭) মলম বা ড্রপের টিউব খুলে ঐ যায়গায় হাত লাগাবেন না।

৮) চোখে ঔষধ দেয়ার সময় দুই চোখই খোলা রাখবেন।

আরো কিছু তথ্যঃ

১) শিশু ক্লাসে ব্লাকবোর্ডের লেখা দেখতে অসুবিধা হলে, বা টেলিভিশনের খুব কাছ থেকে দেখতে অভ্যস্ত হলে বুঝতে হবে তার চোখে সমস্যা অাছে।

২) চল্লিশ বা তার চেয়ে বেশি বয়সের ক্ষেত্রে কাছের জিনিস দেখতে অসুবিধা হলে এটা রোগ নয় বয়স জনিত কারন। ডাক্তার দেখিয়ে চশমার ব্যবহার করলে এর সমস্যা সমাধান সম্ভব। বিলম্ব করলে এ সমস্যা আরো বড়তে পারে।

আরও পড়ুন– ফলের উপকারিতা- জেনে নিন বিভিন্ন ফলের উপকারিতা

 

চোখ ভালো রাখার ব্যায়াম

চোখের প্রথম ব্যায়াম চোখ কোঁচকানো বা ঘোরানো
চোখ ভালো রাখার কার্য়করী ব্যায়াম হলো কোঁচকানো বা ঘোরানো । এটা আপনি যে কোনও সময় চাইলে করতে পারেন। এটি বেশ সহজ অনুশীলন। চোখজোড়া কয়েক মিনিটের জন্য কোন একটি বস্তুর দিকে তাকিয়ে তাকানো অবস্থায় চোক ঘুরিয়ে কোঁচকাতে শুরু করুন। একবার ডান দিকে এক বার বাম দিকে ঘুড়ান। বিরতি নিন এবং এভাবে অন্তত পাঁচ বার পুনরাবৃত্তি করুন। চোখ ভালো থাকবে ইনশা আল্লাহ।

চোখের দ্বিতীয় ব্যায়াম পুনরায় ফোকাস করা
আপনি যখন কম্পিউটারে বা ল্যাপটপে দীর্ঘ সময় কাজ করেন, তখন আপনাকে অবশ্যই বারবার চোখের ফোকাস বদলাতে হবে। খানিক বিরতি নিন। স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে অন্য কোথাও সুনির্দিষ্ট করে তাকান। খুব দূরের কিছুর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করুন, কাছের কিছুর দিকে তাকান এবং তারপর আবার দূরবর্তী বস্তুর দিকে ফোকাস করুন। এটাও অন্তত পাঁচবার পুনরাবৃত্তি করুন। এতে করে আপনার চোখ ভালো রাখতে পারবেন।

চোখের তৃতীয় ব্যায়াম পামিং করা
চোখের দৃষ্টি ভালো রাখতে মাঝে মাঝে পামিং করুন। একটি একটি সহজ ব্যায়াম যা চোখের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়, দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ভুমিকা রাখে। ব্যায়ামটি করার জন্য দুই হাতের তালু জোরে জোরে ঘষুন। এতে এক ধরনের তাপ তৈরি হবে। তারপর কয়েক সেকেন্ড তালু দুটি চোখের ওপর আলতো করে রাখুন। এভাবে অন্তত ৪ থেকে ৬ বার করুন।
৫. চোখের চতুর্থ ব্যায়াম
আপনি যখন কম্পিউটারে দীর্ঘ সময় কাজ করেন বা ফোনে ভিডিও দেখেন বা অন্য কোন কাজ করেন তখন একটানা দীর্ঘ সময় হলে চোখের ক্ষতি হয়। এজন্য ডাক্তারের পরামর্শ হলো কম্পিউটার বা মোইলে কাজ করার সময় অন্তত প্রতি ১০ মিনিটে, ২০ সেকেন্ডের জন্য, ২০ ফুট দূরের কোনও কিছু দেখুন। চোখের ভালো রাখার জন্য এ ব্যায়াম বেশ উপকারী।

চোখ ভালো রাখার খাবার

প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার রাখা উচিত। প্রতিদিন শাক, ডিমের কুসুম, হলুদ, মরিচ, মিষ্টি আলু, কুমড়া এবং গাজর খেতে চেষ্টা করুন। হলুদ এবং সবুজ শাকসবজি অনেক রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক। এগুলোর অভাবে অন্ধত্ব দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও আপনার চোখের সুস্থতা ঠিক রাখতে যে যে খাবার খেতে হবে—
১)যতটা সম্ভব ভিটামিন–এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, দুধ, গরুর কলিজা ইত্যাদি খাবেন
২)বিটা ক্যারোটিন জাতীয় খাবার যেমন গাজর, করলা, মিষ্টি আলু খাবেন, যা চোখ শুষ্ক হওয়া রোধ করে চোখ ভালো রাখে।
৩)প্রতিদিন লুটেইন–সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, সবুজ শাকসবজি, সাইট্রাস ফল ইত্যাদি জাতীয় খাবার দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার জন্য
খুবই উপকারী
এ ছাড়া ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ,জিংক, ভিটামিন ডি জাতীয় খাবারগুলোর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। রাত বেশি না জেগে কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।

চোখ উঠলে করণীয় , চোখ উঠা , চোখ উঠলে কোন ড্রপ, চোখ নিয়ে কবিতা , চোখ নিয়ে উক্তি

 

Leave a Reply