You are currently viewing গল্প । মনের বদল- নার্গিস নাহার রুনু
গল্প

গল্প । মনের বদল- নার্গিস নাহার রুনু

মনের বদল

নার্গিস নাহার রুনু

 

করোনা মহামারির ফলে সমস্ত বিশ্ব অচল। বাংলাদেশেও এর অশুভ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বাংলা চটি গল্প

লকডাউনে অফিস আদালত বন্ধ। তাই বাড়িতে এসেছে রূহান। আসলে শিউলিমালার সাথে বিয়ের পর আর বাড়িতে আসতে ইচ্ছা হয়না ওর।

শিউলিমালা! স্বগতোক্তি করে ও “কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন “।

গেলবার শাওন মাসে মা’র অসুখের কথা শুনে ঝুম বৃষ্টিতে বাড়ি আসলো ও। বাড়ি এসে অবাক! মা’ই

বললো মা নয় মা’র বকুল ফুল অসুস্থ। বকুল ফুল হলো

মা’য়ের সই।

–তো আমাকে কি করতে হবে?

একগাল হেসে মা বললো ওর মেয়ে শিউলিমালা। মায়ের কথা কেড়ে নিয়ে ও বলে, গলে পরতে হবে?

–ঠিক তাই, এইতো আমার সোনা ছেলে। মা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে।

-আমি জানতাম তুই অমত করবিনা। চটি গল্প

আর রূহানেরও মা’র অবাধ্য হওয়ার দুঃসাহস নেই।

সেই দু’বছর বয়সে বাবা হারানো ছেলেকে যক্ষের ধনের মতো আগলে রেখেছে মা। লেখাপড়া শেষ করে তাইতো আজ রূহান সরকারি চাকরি করছে।

খুব সাদামাঠা ভাবে বিয়েটা হলো স্বপ্নের মতো।

রুসমতের সময় বৌয়ের দিকে লজ্জায় তাকাতে পারেনি

 

 আরও পড়ুন ---- কবি নার্গিস নাহার রুনু’র ১১৮ টি ছড়া কবিতা

 

সে। কিন্তু বাসর ঘরে বৌকে একটু ও পছন্দ হয়না ওর। কোন কথা না বলে বারান্দায় চলে আসে।

মা’র উপর ভিষন অভিমান হয়। চটি গল্প

শিউলিমালাও বুঝতে পারে ব্যাপারটা। পরে রূহানকে ডেকে খাটে ঘুমাতে দিয়ে নিজে ফ্লোরে

শুয়ে পড়ে । তাদের দু’জনের এই মর্মবেদন তারা ছাড়া জগতের কেহই জানতে পারেনা।

ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরে যায় রূহান। মাঝে মাঝে বাড়িতে আসলেও ব্যবধান ঘোচেনা দু’জনের। দুঃশ্চিন্তায় শিউলিমালার শরীর শুকিয়ে যেতে

থাকে। রূহানের মা তাড়া দেয় বাসা ঠিক করে

বৌ নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু রূহান গায়ে মাখেনা। গল্প 

এবারই করোনার কারণে বাড়িতে আটকা পড়েছে ও। চটি গল্প

বোরিং লাগে খুব। ওর খুব ভালো লাগে দক্ষিণের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশের রঙ বদল দেখতে।

এই লকডাউনের মাঝে প্রকৃতির মাঝে কোন দীনতা খুঁজে পায়না ও।আকাশ কখনো নীল কখনো লাল।

সামনের কৃষ্ণচূড়া গাছটি ফুলেফুলে ভরা, জারুল গাছেও বেগুনী রঙের ফুলের সমারোহ। বসন্ত দূত ডেকে চলেছে বনে একটানা। নিমফুলের

একটা মিষ্ট সুরভি ভেসে আসে। রূহানের মনের ভিতরও পরিবর্তন হতে থাকে। ক্ষরণ হয় হৃদয়ে। একটা ঝড় ওঠে সবকিছু ওলট পালট করে দেয়। মনের পর্দা সরে যায়। সেখানে একটা বিমর্ষ বালিকার করুণ মুখ ভেসে ওঠে –শিউলিমালার।

হনহন করে নিচে নেমে যায় ও। ঐতো রান্নাঘরে ব্যস্ত

শিউলিমালা। একরাশ ঢেউ খেলানো এলোচুল কোমরের নিচ পর্যন্ত। স্নান সেরে এসেছে হয়তো তাই

মুক্তোর মতো পানির ফোঁটা জমে আছে চুলের ডগায়।

বড্ড ভালো লাগে দেখতে। সব সঙ্কোচ ঝেড়ে ফেলে

রূহান ডাকে, শিউলিমালা! গল্প 

চমকে পিছন ফিরে মাথার উপর আঁচল টেনে

দিতে যায় শিউলিমালা।

রূহান শিউলিমালার হাত ধরে ফেলে।

উহ! আমার সামনেও ঘোমটা?

রূহানের কথায় কষ্টের পাহাড় চূর্ণ হতে থাকে ওর। মনের লকডাউন খুলে যায় দু’জনার। শ্রাবণের ঢল নামে

শিউলিমালার চোখে। গল্প 

 

Leave a Reply