You are currently viewing কোকাকোলা কোন দেশের কোম্পানি । বয়কটে ‍দিশেহারা কোকাকোলা
কোকাকোলা কোন দেশের কোম্পানি

কোকাকোলা কোন দেশের কোম্পানি । বয়কটে ‍দিশেহারা কোকাকোলা

কোকাকোলা কোন দেশের কোম্পানি

কোকাকোলা কোন দেশের কোম্পানি এটা জরুরি না। জরুরি হচ্ছে এরা যায়ো সাপোর্টার। এরা গনহত্যার সাথে সরাসরি জড়িত। অনলাইনে এই বিষয়ে অনেক রিসোর্স, আরো বিস্তারিত লেখা গুলোও বের হচ্ছে। আমরা বাঙালিরা কেন যেন বুঝতে চাই না। স্টারবাকস কি ‘ওই জায়গার’ পন্য??? না। কিন্তু তবুও কেন আন্তর্জাতিকভাবে মুসলিমরা বয়কট করে ওদের অবস্থা খারাপ করে দিচ্ছে। কারণ ওরা গনহত্যায় ফাইন্যান্সিয়ালি যায়ো দের সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। কোক বয়কটের ইতিহাস আজ হয় নি এটা অনেক পুরোনো৷ এরজন্য ইস্র।এল হওয়া জরুরি না। যে বিজ্ঞাপনে বলেছে ফালাস্টিনেও কোক ফ্যাক্টরি আছে সেখানেও ভয়ানক ব্যাপার আছে, ফ্যাল্যাস্টাইন দখল করে ওই জায়গায় কোকের ফ্যাক্টরি করা হয়েছে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিও ভারতে ছিল তারমানে কি ওরা ইংরেজদের ছিল না?
-ইবরাহিম চৌধুরী

কোকা কোলা

দুনিয়ার কোনো অ্যাডে দেখেছেন বয়কট থামাতে “ভাই, ভাই, এটা তো অমুক দেশের জিনিস না” বলে এভাবে ভিক্ষুকের মতো কাঁদছে? ঠাকুরঘরে কে রে, আমি কলা খাইনা টাইপ ব্যাপার। দেশে যে-ই প্রচণ্ড গরম, তার উপর সামনে আসছে কুরবানির ঈদ, সকাল-বিকাল মাংস খেতে খেতে মানুষের বয়কটের ইচ্ছাটা একটু দমে আসবে৷ মনে হবে ঈদের কয়টা দিন সব ভুলে একটু কোক খাই। ঠিক তখনই সাক্ষাৎ ইবলিসের মতো এই অ্যাড সামনে হাজির হবে। ইবলিস যদি সামনে হাজির হয়ে বলে, কোক খা, কোক খা৷ কেউ কি খাবে? সবচাইতে পাপী বান্দাটাও তখন কোকের বোতল ছুড়ে মারবে। এই অ্যাডের ইফেক্টটাও কিন্তু সেরকম। এই দাদাকে দেখলে মানুষের বয়কটের মনোবল বাড়বে। যারা বয়কটের কথা ভুলতে বসেছিল, তাদের জন্য দাদার উপদেশমালা একদম টনিকের মতো কাজ করবে। যত গরম পড়ুক। যত পোলাও-কোর্মার মেন্যু থাকুক। জাহেল-পাপী-পরহেজগার সবাই এক বাক্যে বলবে, কোক খাওয়া যাবে না।
এই অ্যাড হলো একটা সাকসেস। বয়কটের সাকসেস। ওদের এমন ইনায়ে-বিনায়ে বানানো অ্যাড না দেখলে কি আমরা বুঝতাম ওরা কেমন মারাটা খাইসে!
বিজয় আমাদের। বিজয় মুসলিমদের ইনশাআল্লাহ৷
বয়কট আরো জোরদার হোক।
কোকাকোলা
কোকাকোলা

কোকাকোলা কি ইসরাইলের পণ্য

“আরে মিয়ারা, কোক মোটেও ঐ “জায়গা”র না” লাইনটা বিজ্ঞাপনে যতবার কানে আসতেসে, অন্যরকম একটা আনন্দ হইতেসে।
প্রথমত, বয়কটে নাকি তোমাদের বাপদের কিছু হয় না? তাইলে এখন প্রতি ওভার শেষে কোক মোটেও ঐ জায়গার না বলে কানতেসো কেন?
শখে শখে নিশ্চয়ই কোন ব্র্যান্ড এমন টাকা খরচ করে কান্নাকাটি করে না?
আর দ্বিতীয়ত, যতই সাপোর্ট করুক, ঐ জায়গা এতোটাই নোংরা যে, ঐ জায়গার নাম উচ্চারণ করার সাহস ইভেন কোকেরও হয় নাই।
অর্থাৎ, যতই সাপোর্ট করুক, ওরা যে ঘৃণারও অযোগ্য, ওদের দেশের নাম যে পাবলিকলি উচ্চারণ করা যায় না, সেইটা ওরা নিজেরাও জানে।
সত্য আর মিথ্যার তফাতটা যুগে যুগে এমনই ছিলো, এমনই আছে, ভবিষ্যতেও এমনই থাকবে।
যারা গত একটা বছর মানুষের হাজারো টিটকারি সহ্য করেও কোকের বোতলটা দূরে সরিয়ে রেখে চলেছেন, আপনাদের সবাইকে অভিবাদন জানাই।
– সাদিকুর রহমান খান

কোকাকোলা কোম্পানির মালিক কোন দেশের

প্রায় দু-তিন বছর আগে কোকাকোলা একটা ক্যাম্পেইন করেছিল– ওয়েবসাইট থেকে আপনি কাস্টমাইজড বোতল অর্ডার করতে পারবেন। নিজের নাম, বউয়ের নাম, শ্বশুরের নাম, দলের নাম, কুত্তার নাম, যা খুশি তাই দিতে পারবেন। শুধু দিতে পারবেন না ফিল_স_তিন এর নাম। ইসস-রাই ল দিয়ে কিন্তু আবার কাস্টমাইজড বোতল অর্ডার করতে পারবেন ঠিকই। দুনিয়াজুড়ে ব্যপক সমালোচনা হয়েছিল সেসময়।
বাংলাদেশে প্রচারিত তাদের নতুন কমার্শিয়ালটা দেখলাম। বেশ ইন্ট্রেস্টিংলি তারা ফিল_স_তিন এর নাম উচ্চারণ করল কিন্তু ইসπরাইল এর নামটা এড়িয়ে গেল। একেই বলে ঠেলার নাম বাবাজি। এত প্যারা খাচ্ছে যে স্বামীর নাম উচ্চারণ করে পাপ জমাতেও এখন রাজী না। আহাম্মকের মত আবার আমাদের এইটাও তারা জানিয়ে দিল ফিল_ স তিনে তাদের ফ্যাকটরি আছে।
জ্বী আছে ফ্যাক্টরি, ফিলস৩ই মানুষের দখলকৃত জমিতে। আর এতে করে এদের অপরাধ, এদের হাতে লেগে থাকা র*ক্তের দাগ মুছে যায় না। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দুইশ বছর আমাদের বুকের উপর দাঁড়িয়ে আমাদেরকে রাজা থেকে দাস বানিয়ে ছেড়েছে। যে দাসত্বের বোঝা আমরা আজও বয়ে বেড়াই। তাদের কোম্পানি বা ফ্যাকটরি আমাদের দেশে ছিল এর মানে এই না তারা আমাদের ভাই-ব্রাদার ছিল।
একটা প্রতিষ্ঠান কোথায় অবস্থিত তাতে কিসসু ছেঁড়া যায় না। তারা মার্কেটিং ক্যাম্পেইন করে কাদের দিনের পর দিন সমর্থন যোগাচ্ছে। এর লভ্যাংশ কাদের পকেটে যাচ্ছে আর তারা এটা দিয়ে কি করে। এর শেয়ার হোল্ডার কারা এগুলোই আমাদের কাছে মূল ব্যাপার। এবার আসেন কোকের কিছু পুরাতন আমলনামা দেখে আসি-
১. ওয়ারেন বাফেট হচ্ছেন কোকা-কোলার সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার। এই লোক তার আর্থিক প্রভাব ব্যবহার করে ইসর-ইলকে উল্লেখযোগ্যভাবে সমর্থন করেন। তার কোম্পানি বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে ২০০৬ সালে ইস*রায়েলি কোম্পানি ইসকার-এর ৮০% শেয়ার ৪ বিলিয়নে এবং ২০১৩ সালে বাকি ২০% শেয়ার ২ বিলিয়নে কিনে নেয়। বাফেট ইস*রায়েল বন্ডসকে ব্যপকভাবে প্রমোট করেন। তেভা ফার্মাসিউটিক্যালস-এর মতো ইস♪রাই লি কোম্পানিতেও তার ব্যপক বিনিয়োগ রয়েছে।
এছাড়া এই লোক বেন-গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ডোনেশন দিয়েছেন কিছুদিন আগেই। তার ভাষ্যমতে-“আমি ই*হুদি নই, তবে ইস*রায়েল আমাকে আমে*রিকার জন্মের পরের সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। এখানকার মানুষের দৃঢ়সংকল্প, মোটিভেশন, বুদ্ধিমত্তা এবং উদ্যোগ অসাধারণ ও অসাধারণ। আমি ইস-র-ইল এর অর্থনীতির প্রতি ভরসা রাখি।”
(কোক কাদের এটা তাই বুঝতে কোকাকোলা কোন দেশি সেটা সার্চ না দিয়ে, এর সবচেয়ে বেশি শেয়ার কার, এবং তার ই-স রাইল নিয়ে স্ট্যান্স কি সার্চ করুন)
২. ঈ_ স রাইলের সমর্থক: ১৯৬৬ সাল থেকে কোকা-কোলা ই-স্রা ইল_রের দৃঢ় সমর্থক।
৩. ই-স#রাইল কর্তৃক সম্মাননা: ১৯৯৭ সালে ই-স্রাইল সরকার এর ইকোনমিক মিশন কোকা-কোলাকে প্রায় ৩০ বছর ধরে তাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে সমর্থনের জন্য সম্মাননা প্রদান করে।
৪. আমে*রিকান-ইস_রাইল চেম্বার অফ কমার্স অ্যাওয়ার্ড: কোকা-কোলা এই পুরস্কারগুলোকে স্পনসর করে, যা ইস-রাইলি অর্থনীতিতে অবদান রাখা কোম্পানিগুলিকে সম্মাননা প্রদান করে।
৫. AIPAC-এর সমর্থন: ২০০৯ সালে, কোকা-কোলা একটি পুরস্কার স্পনসর করে যা AIPAC-এর লবিংয়ের জন্য দেওয়া হয়, যেটা জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে এবং গা*জায় সামরিক হা*মলা চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দেয়।
৬. খু*নীকে সম্মানিত করা: কোকাকোলা কোন দেশের কোম্পানি
২০০৯ সালে, কোকা-কোলা বেন-এলিয়েজারকে তাদের সদর দপ্তরে বিশেষ সংবর্ধনা প্রদান করে। বেন-এলিয়েজার হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে ছয় দিনের যু-দ্ধের সময় তার ইউনিটের মাধ্যমে ৩০০ এর বেশি মিশরীয় বন্দীর মৃ ত্যু_দন্ড কার্যকর করার দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন।কোকা-কোলার এই সংবর্ধনা সেসময় ব্যপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল।
৭. ফিল-স্তি নের জমি দখল করে সেখানে কোকা কোলার ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হয়েছে। ১৯৬৭-৯১ পর্যন্ত তাই আরবলীগ আনুষ্ঠানিক ভাবে কোকাকোলা বয়কট করে রেখেছিল।
✍️ Arman ibn solaiman
আব্বু জানে না কোকাকোলা কোন দেশের প্রডাক্ট, তিনি অজান্তে বাজার থেকে কোকাকোলার ক্যাস আনছিলো বিক্রি করার জন্য কিন্তু কোকাকোলার ক্যাস দেখে আমার মেজাজ গরম হয়ে গেছিলো, আব্বুকে জিজ্ঞেস করলাম এটা কেন আনছেন, এই প্রডাক্ট বয়কট করছি,, পরে নিজের পকেটের বাড়তি ভাড়া দিয়ে কোকাকোলা ফেরত দিয়েছি, কারণ এই প্রডাক্টের কোম্পানি আমাদের ভাইয়ের বুকে আঘাত করতে সহযোগিতা করে

কোকাকোলা কোম্পানির মালিক কে

কোক-পেপসি’র বাংলাদেশে বিরাট বড় বাজার। কোকের ব্যবসা চলছে প্রায় ৬০ বছর ধরে, পেপসির প্রায় ২৫ বছর। বাংলাদেশে কোমল পানীয়’র বাজারে তারা মাফিয়ার মতো। দেশীয় বা বিদেশী, অন্য কোনো বেভারেজ ব্র্যান্ডকেই তারা এ দেশে টিকতে দেয় না। তাদের মার্কেটিং আর ব্র্যান্ডিং পলিসি এত স্ট্রং, অন্য কোনো ব্র্যান্ডকে তারা তাদের সাম্রাজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই দেয় না। এর বহু উদাহরণ রয়েছে।
আমি সাম্প্রতিক দুটো উদাহরণ দেই।
এক
ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে যখন কোক-পেপসি বয়কটের ঢেউ উঠল বাংলাদেশে, তখন ‘মোজো’ হঠাৎ করে ফিলিস্তিনের প্রতি নিজেদের সহমর্মিতা স্বরূপ ঘোষণা দিল, তারা প্রতি বোতল থেকে এক টাকা করে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের জন্য পাঠাবে। অল্প দিনেই মোজোর এই প্রচারণা ব্যাপক সমর্থন পায় এবং মোজোর বিক্রি হু হু করে বাড়তে থাকে।
যেখানে কোক-পেপসি বেভারেজ মার্কেটের ৮০-৯০% দখল করে রেখেছিল, আর বাকি ১০-২০% মার্কেট ছিল বাকি সব বেভারেজের, সেখানে মোজো মাত্র দুই-তিন মাসে সেই মার্কেটের ৩৫-৪০% দখল করে ফেলে। এবং দিন দিন এই মার্কেট রেশিও বাড়তে থাকে।
মার্কেট চাহিদা বাড়ার কারণে মোজো পড়ে যায় উৎপাদন সমস্যায়। কারণ মোজোর ফ্যাক্টরি ক্যাপাসিটি তো এত বিশাল নয় যে কোক-পেপসির বিরাট মার্কেটকে চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে। ফলে মোজো দ্রুত ‘দেশীয় একটি বেভারেজ কোম্পানি’র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে তাদের ফ্যাক্টরিতে মোজোর ইনগ্রিডিয়েন্টস (কাঁচামাল) উৎপাদন শুরু করে। মোজো সারা বাংলাদেশের ব্যাপক চাহিদা শতভাগ পূরণ করতে না পারলেও, এই ‘দেশীয় বেভারেজ কোম্পানি’র ফ্যাক্টরি সাপোর্টে বেভারেজ মার্কেটে নিজেদের আধিপত্য জোরদার করতে থাকে।
কিছুদিন যাওয়ার পর হঠাৎ এই ‘দেশীয় কোম্পানি’ থেকে মোজোকে জানানো হয়, তারা তাদের ফ্যাক্টরিতে আর মোজোর ইনগ্রিডিয়েন্টস উৎপাদন করবে না। কেন? সেই কেন’র কোনো জবাব নেই। বালেগ ব্যক্তি মাত্রই এর কারণ অনুধাবন করতে পারবেন। আর এই ‘দেশীয় বেভারেজ কোম্পানি’টি বাংলাদেশের যেন তেন কোনো কোম্পানি নয়, বাংলাদেশের টপ ফাইভের একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি। শত শত প্রোডাক্ট আছে তাদের। নাম বলছি না। বাংলাদেশ ছাড়াও তাদের প্রোডাক্ট বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশে এক্সপোর্ট হয়।
তো, এই সিচুয়েশনে এসে মোজো পড়ে যায় দারুণ গ্যাঁড়াকলে। একদিকে পানীয়’র ব্যাপক চাহিদা, আর ওদিকে তাদের উৎপাদনে ঘাটতি। ফলে মার্কেটে পড়তে থাকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। চারদিকে মোজো মোজো বলে হাহাকার। তাছাড়া নানা জনের নানা বিরূপ মন্তব্য তো আছেই! মোজোকে নিয়ে তৈরি হয় নানা রিউমার, নানা কন্সপিরেসি থিউরি।
তাই বলে মোজো বসে থাকেনি। মোজো তাদের ফ্যাক্টরি ক্যাপাসিটি বাড়াতে ত্বরিত জার্মানির সঙ্গে যোগাযোগ করে। ফ্যাক্টরি মেশিনারিজে বিশ্বে সবচেয়ে আধুনিক ও টেকসই প্রযুক্তির মেশিন সাপ্লাই দেয় জার্মান কোম্পানি। তাদেরকে রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী মেশিন তৈরির অর্ডার দেয়া হয়। কেননা এসব মেশিন ইন্সট্যান্ট কেনা যায় না। অর্ডার করার পর সেটা কোম্পানির রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী বিভিন্ন ধাপে কাস্টমাইজ করে তৈরি করতে হয়। বেভারেজ তৈরির একটি মেশিন তৈরিতে ব্যয় হয় ২০০-২৫০ কোটি টাকা।
মোজোর এই মেশিন জার্মানিতে তৈরি হয়ে শিপমেন্টে বাংলাদেশে আসতে এবং সেটি ফ্যাক্টরিতে ইন্সটল করতে সময় নেয় আরও দুই-তিন মাস। এই বিরাট কর্মযজ্ঞ শেষ করে মোজো দ্রুত তার নতুন উৎপাদনে ফিরে আসছে।
দুই
মোজোকে মার্কেট-আউট দেখাতে কোক-পেপসি এখন একযোগে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বেভারেজ কোম্পানিগুলো তাদের প্রোডাক্ট ফ্রিজিং করতে নিজেরাই দোকানদারদের জন্য ফ্রিতে ফ্রিজ প্রোভাইড করে। যাতে এই ফ্রিজে দোকানীরা এসব কোম্পানির বেভারেজগুলো রাখতে পারে। কোক যেমন তার কোকাকোলা, মিরিন্ডা, কিনলে ইত্যাদি প্রোডাক্ট রাখার জন্য ফ্রিজ দেয়, তেমনি পেপসিকো তাদের পেপসি, ফান্টা, অ্যাকুয়াফিনা রাখার জন্য ফ্রিজ দেয়। তবে শর্ত থাকে, এসব ফ্রিজে দোকানীরা অন্য কোম্পানির প্রোডাক্টও রাখতে পারবে বটে, কিন্তু তাদের কোম্পানির প্রোডাক্টগুলো দর্শনীয়ভাবে রাখতে হবে এবং প্রতি মাসে তাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হবে।
বিগত কয়েক মাস ধরে কোক-পেপসি সম্মিলিতভাবে তাদের ডিলার, হোলসেলার ও ডিস্ট্রিবিউটরদের বলে দিয়েছে, যে দোকানে আমাদের ফ্রিজ রয়েছে, সেই ফ্রিজে দোকানদার অন্য সব সফট ড্রিংকস রাখতে পারবে কিন্তু মোজো রাখা যাবে না। কোকের ফ্রিজে পেপসি রাখো, পেপসির ফ্রিজে কোক রাখো, সমস্যা নেই, কিন্তু কোক-পেপসির প্রোভাইড করা কোনো ফ্রিজে মোজো রাখা যাবে না।
এখন মোজোর পক্ষে তো হুট করে সারা বাংলাদেশে লাখ লাখ দোকানে ফ্রিজ প্রোভাইড করা সম্ভব না। কাজেই মোজোকে থাকতে হবে ফ্রিজের পেছনে বা তাকের পেছনের গোডাউনে। ফলে দেখা যায়, অনেক দোকানদার ফ্রিজিং করতে না পারার কারণে মোজোর চাহিদা কমিয়ে দিয়েছে।
তারপরও বহু দোকানদার ফিলিস্তিনকে ভালোবেসে বা দেশীয় প্রোডাক্টের প্রসারে মোজোকে ফ্রিজে জায়গা করে দিচ্ছে, নয়তো ফ্রিজ ছাড়াই বিক্রি করে চলেছে।
পরিশেষ কোকাকোলা কোন দেশের কোম্পানি
গত মাসে আকিজ ভেঞ্চার লিমিটেড-এর (মোজোর মাদার কোম্পানি) পক্ষ থেকে আমাদের তিন দিনের একটি ওরিয়েন্টেশন ছিল। ওরিয়েন্টেশনের শেষদিন ছিল মার্কেট রিসার্চ। যার যার এলাকার বাজারে গিয়ে বিভিন্ন দোকানে আকিজের প্রোডাক্ট সম্পর্কে দোকানীদের কী মতামত সেটা জানা ও নোট করা। এই মার্কেট রিসার্চ প্রোগ্রামে গিয়েই আমার কয়েকজন কলিগ এমন তথ্য জানতে পারেন।
তা ছাড়া মোজোকে নিয়ে নানা ধরনের অপপ্রচার ছড়ানোর চেষ্টা তো আছেই। অনলাইনে মোজোকে নিয়ে বহু গুজব ঘুরতে দেখবেন। এসব গুজব মোবিলাইজ কারা করছে, আমাদের বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
আগেই বলেছিলাম, কোক-পেপসি হলো আমাদের দেশের বিরাট বিরাট ব্যবসায়ী মাফিয়া। এরা আপনার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলবে না যে কোক খাও। এরা এদের মার্কেট পলিসিকে এমনভাবে প্রয়োগ করবে, আপনার তখন কোক খাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। হয়তো কোক খাও, নয়তো সফট ড্রিংকস না খেয়ে থাকো। কিন্তু বিরিয়ানী খাওয়ার পর ঠাণ্ডা খেতে চাইলে তোমাকে কোক খেতেই হবে বাছা! উপায় নাই!!
এটাই ওদের মাফিয়া স্ট্র্যাডেজি। এখন আপনি আমি মোজোকে নানাভাবে কটাক্ষ করতে পারি, নানা কন্সপিরেসি থিউরিতে বিশ্বাস করতে পারি, মোজোর ব্যাপারে গুজব-সত্য নানা কথায় দোষ ধরতে পারি; কিন্তু মনে রাখতে হবে, মোজো কর্পোরেট সকল আশংকা আর ভয়কে তুচ্ছ করে একাই দাঁড়িয়েছিল এই মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। লাখো-কোটি তরুণের প্রাণের আওয়াজের প্রতিনিধিত্ব করেছিল তাদের উদ্যোগ। সুতরাং এত সহজে তারা ময়দান থেকে পিছু হটবে না।
লিখেছেন: সালাহউদ্দিন জাহাঙ্গীর

কোকাকোলা কোম্পানি বাংলাদেশ

১৯৬৬ সালে কোকা-কোলা প্রথমবারের মত ইস্রায়েলে বটলিং প্ল্যান্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর প্রেক্ষিতে, ১৯৬৭ সালে আরব লীগ সম্মিলিত ভাবে কোকাকোলা আমদানি * বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়।
( খেয়াল করে দেখবেন, শব্দটা কোকাকোলা আমদানি ) মিশরে বা কোন আরব কান্ট্রিতে তখন বটলিং হতোনা, আমদানি হত অন্য দেশ থেকে।
১৯৬৮ থেকে এটা পুরোপুরি কার্যকর হয়। মিশর থেকেই মূলত এই বয়কট মুভমেন্ট এর যাত্রা শুরু ।
২০০০ সালের পর, কোকাকোলা কোন দেশের কোম্পানি
ইরাক-আফগানিস্তানে আমেরিকার আক্রমনের পর একটা নতুন ঢেউ উঠে বাংলাদেশে কোক বয়কটের।
তবে এই বয়কট সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যানে মানুষের কাছে ম্যাসিভ আকারে পৌছায় ২০২৩ সালে প্যালেস্টাইনে নতুন করে ইস্রায়েলি জেনোসাইড চালু হবার পর।
সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যানে আমরা এখন কোকাকোলার নতুন বয়কট দেখছি, একটা বিশাল সংখ্যক উন্মত্ত জনতা, জেনোসাইড প্রিভেন্ট করার কোন কিছু করার অক্ষমতা থেকে বয়কট কোক স্লোগানে মত্ত হচ্ছে।
কিন্তু গত ৬০ বছর ধরে চলমান এই পলিটিকালি বেইজড হেইট ক্যাম্পেইন চলার পরেও দুনিয়ার আনাচেকানাচে ৫০০+ ব্রান্ডের আন্ডারের অন্তত ৩৫০০ এর ও বেশি আলাদা আলাদা প্রোডাক্ট লাইন চলছে কোকা-কোলার।
সম্প্রতি , কয়েকদিন আগে কোকা-কোলা বাংলাদেশ এর একটা নতুন বিজ্ঞাপন মার্কেটে আসে, বয়কট কোক ক্যাম্পেইন ন্যারেটিভকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য। এখানে বলা হচ্ছে ইভেন প্যালেস্টাইনেও কোকের বটলিং প্ল্যান্ট আছে।
মানুষের কাছে এম্নিতেই কোক নামটা রিলেভেন্ট, তবে এই এড ক্যাম্পেইন নতুন করে আবার আলোচনায় এনেছে কোক কে।
আমার পারসোনাল মত-
মানুষ আবেগ দিয়ে চিন্তা করে, বিবেক দিয়ে না। ফলে আমরা আমাদের লোকাল প্রডিউস কোক নাকি ইসরায়েল থেকে ইম্পোর্টেড কোক এসব না দেখেই আমাদের আম-জনতা কোক বয়কট ক্যাম্পেইন চালু রেখেছে।
কোকের নতুন বিজ্ঞাপন মানুষের কাছে কোকের নাম আরো পৌছে দেয়ার বা আলোচনার টেবিলে রাখার একটা নতুন কৌশল ও হতে পারে আবার ডটবার্থ এর একদম ব্লান্ডার ও হতে পারে।
মানুষ একটা পলিটিকাল স্ট্যান্স নেয়ার জন্য কোক বয়কট জারি রেখেছে আর কিছুইনা। সেইম মানুষ ই দেখবেন ধুমছে নেসক্যাফের কফি খাচ্ছে মগ ভরে।
মাঝে মাঝে চুপ থাকলেই আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যায় এই দেশে।
যেমন, দেশের সবচেয়ে বড় ফ্রড, ভুয়া ডাক্তার, ভন্ড সাইকোলজিস্ট এবং ইন্টারপাশ মানসিক ডাক্তার ইয়াহিয়া খান তার এত এত চুরি বাটপারি ধরা খাওয়ার পরেও রমজান মাসে টানা ইস্লামিক কন্টেন্ট বানিয়ে গেছে এবং এরপরেও টানা সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্টিভ থেকে গেছে, তবে তার ভুয়া ডাক্তারি নিয়ে, কিংবা ভুয়া ইউকের ডিগ্রি নিয়ে একটা কথাও বলেনি।
মানুষ ঠিকই তাকে ভুলে গেছে, আবার তার কন্টেন্ট কঞ্জিউম করা শুরু করেছে সে আবার লাইম লাইটে আসা শুরু করেছে।
কোকাকোলা এই বিজ্ঞাপন না বানিয়ে স্রেফ কোরবান উপলক্ষে কোকের সাপ্লাই বাড়িয়ে বিজনেস করে গেলে ঠিকই উতরে যেত হয়তোবা।
এই বিজ্ঞাপন হিতে বিপরীত হয়েছে।
চুপ থাকাটাই এই সময়ে বেটার অপশান হত কোকা কোলা বাংলাদেশের জন্য।
ফাইনাল ভারডিক্টঃ কোকা কোলা এত ম্যাসিভ ম্যাসিভ ব্রান্ড কিছুই হবেনা তাদের লং রানে। সাময়িক ব্যাকল্যাশ আসতে পারে বাট এই বয়কট গুলাকে ট্যাকেল করেই তারা গ্লোবাল লিডিং ব্রান্ড হয়েছে পুরা দুনিয়া গত ৬০ বছরে। কোকাকোলা কোন দেশের কোম্পানি
তবে মানুষের বয়কট কালচার একটা জটিল মনস্তত্ত্ব! কোম্পানিরা এটা নিয়ে আরো কাজ করবে ইন ফিউচারে। কখন কি বয়কট করে বসে কোন সেন্সে এটা বুঝতে কোম্পানি বা ব্রান্ড রা আরো ইনভেস্ট করবে।
আকিজ মোজো বানায় , একই সাথে হারাম ওয়াইল্ড ব্রিউ ও বানায়, কিন্তু মানুষ বয়কট করে কোক! আকিজ নয়!
যেই দেশের যেমন ভাউ , সেই দেশে তেমন করেই বিজনেস করতে হবে এটাই হচ্ছে মূল কথা।
যেমন জুন মাস দুনিয়া জুড়ে প্রাইড মান্থ, লিংগ ও সেক্স নির্বিশেষে সবার অধিকারের কথা বলে এই মাসে, তাই দুনিয়া জুড়ে ব্রান্ড গুলো তাদের এক্টিভিটিতে এল জি বি টি কিউ প্রদর্শন করে।
কিন্তু ভুলেও মিডল ইস্টে তাদের কার্যক্রমে এটা রাখেনা। কারন এটা সেন্সেটিভ ইস্যু সেই অঞ্চলে, তারা কোন মতেই বিজনেস হারাতে চায়না। যাই ঘটুক না কেন, টাকাই আসল।
বিঃদ্রঃ কোকা কোলা বাংলাদেশের মেনুফ্যাকচারিং বা বটলিং প্রান্ট এর হাজার হাজার স্টাফ, সবাই বাংলাদেশের, পুরো সাপ্লাই চেইনে সবাই এই দেশের, মোটাদাগে সকল টাকাই দেশে থাকে, খুব নগন্য একটা লাইন্সেন্সিং ফি দেশের বাইরে যায় অনেক হাত ঘুরে অরিজিনাল কোকাকোলা কোম্পানি ইউ এস এ তে।
আমাদের দেশে এই বিজ্ঞাপনের পর কোকের সেলস আরো কমবে এই কোরবানিতে , ইভেন বর্তমানে ৫০% বেভারেজ মার্কেট এর শেয়ার তাদের কমতে কমতে ১০% এ এলেও অবাক হবার কিছু নাই।
তবে কথা হচ্ছে, লং রানে তারা টিকে যাবে কারন এটা ট্যাকেল করতে করতেই আজকের দিনে তারা এত বড় হয়েছে।
তাদের কাছে আছে টেকনোলজি, তাদের কাছে আছে ক্ষমতা, আছে টাকা, আছে ন্যারেটিভ চেঞ্জ করার শক্তি, তাই তারা টিকে যাবে এই আর কি।
বিঃদ্রঃ২- আমার থেকে ব্লক খেতে চাইলে এই পোস্টে এসে ক্লাউন গিরী করতে পারো অথবা হাহা মারাইতে পারো। আজকে ফ্রি আছি কাম কাজ নাই সারাদিন। সারাদিন ধরে ব্লকামু