গতকাল ২৮ জুন, শুক্রবার কলাপাড়া উপজেলা সমিতি ঢাকা’র শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। নবগঠিত কমিটির প্রথম সভায় প্রথমেই এ কমিটির সভাপতি পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করায় সদস্যদের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানানো হয় এবং সকলকে মিষ্টিমুখ করানো হয়।
পরবর্তীতে সকলের আন্তরিক আলোচনার মধ্য দিয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১। ঢাকাতে অবস্থানরত কলাপাড়ার শিক্ষা ও সংস্কৃতির সাথে জড়িত আরো সদস্যকে এই কমিটিতে কো-অপ্ট করা প্রয়োজন মর্মে মতামত ব্যক্ত করা হয়। বিশেষ করে ঢাকার বড় বড় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে দুজন করে সদস্য কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ঢাকাতে কলাপাড়ার ছাত্রদের যে সংগঠন আছে যেমন উপকূল, পায়রা বা অন্যান্য ছাত্র সংগঠন তাদের সভাপতি ও সেক্রেটারিকেও এ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষকবৃন্দকেও এ কমিটির সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে।
২ । আগামী ডিসেম্বর, ২০২৪ সালে ঢাকাতে একটি শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্মেলন করা হবে উক্ত সম্মেলনে কলাপাড়ার মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী ও কৃতি ব্যক্তি যাদের বড় ধরনের সাফল্য রয়েছে তাদেরকে সম্মাননা প্রদান করা হবে এবং এর মাধ্যমে কলাপাড়ার কৃতি সন্তানদের সমিতির কল্যাণমূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত করা হবে।
৩ । স্বেচ্ছা প্রদত্ত অনুদান সংগ্রহের মাধ্যমে একটি বড় ধরনের স্থায়ী শিক্ষা বৃত্তি ফান্ড গঠন করা হবে। প্রতি বছর এই ফান্ডের মাধ্যমে বৃত্তি প্রদান করা হবে।
৪ । ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রফেসর বা শিক্ষকদের একটি তালিকা তৈরি করা হবে। প্রয়োজনে যেন তাদের সাথে যোগাযোগ করা ও পরামর্শ গ্রহণ করা সম্ভব হয়।
৫। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি শিক্ষা সহায়তা বা সাপোর্ট সেল গঠন করা হবে এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি, আবাসন, টিউশনি, পার্ট টাইম জব ও বিদেশে অধ্যায়নের যাবতীয় সাপোর্ট প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণ(যতটুকু সম্ভব) করা হবে।
৬ । শিক্ষাজীবন শেষে চাকরি বা কর্মসংস্থানেও যতটুকু সম্ভব, যেখানে যেখানে স্কোপ আছে সহযোগিতা করা হবে।
৭ । কলাপাড়ার শিক্ষাবিদ ও কৃতি ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষা সংক্রান্ত একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করতে হবে যেখানে মাঝেমধ্যে অনলাইনে বা অফলাইনে বা লাইভে সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও আলোচনার আয়োজন করা হবে।
৮ । কলাপাড়াতে যারা মেধাবী ছাত্র তৈরি করেন সেই শিক্ষক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি সহ সকলকে নিয়ে কলাপাড়াতেও মতবিনিময়ে সভা করা হবে এবং শিক্ষার অধিকতর মান উন্নয়নে করণীয় বিষয় নির্ধারণ করা হবে।
৯ । শিক্ষা বিস্তারে অনুদান প্রদানে আগ্রহী দাতা , শিক্ষানুরাগী ও স্পন্সরদের একটি তালিকা তৈরি করতে হবে এবং তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে ।
১০ । কলাপাড়ার শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংক্রান্ত বাৎসরিক একটি প্রকাশনা বের করা হবে।
১১ । কলাপাড়া সংগীত শিল্পী, অভিনয় শিল্পী, চিত্রশিল্পী সহ সাহিত্য -সংস্কৃতির সাথে যারা জড়িত তাদের একটি তালিকা তৈরি করতে হবে এবং তাদেরকেও এই কমিটির কাজের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। সাহিত্য সংস্কৃতির সাথে জড়িতদের প্রমোট করার উদ্যোগও গ্রহণ করতে হবে।
১১ । শিক্ষা ও সংস্কৃতি কমিটির কাজের সাথে মিডিয়াকে যুক্ত করতে হবে। এজন্য কলাপাড়ার যারা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কাজ করে তাদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করতে হবে এবং তাদেরকে এই কমিটির কাজের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে।
১২ । প্রতিমাসে শিক্ষা ও সংস্কৃতি উপ- কমিটির কমপক্ষে একটি সভা জুম প্লাটফর্মে করা হবে এবং প্রতি দুই মাসে একটি সভা ( ফিজিক্যাল উপস্থিতির মাধ্যমে)অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম সভায় স্বল্প সময়ে সদস্যদের মতামতের মাধ্যমে আপাতত উপরোক্ত বিষয়গুলো উঠে এসেছে। আমরা ধীরে ধীরে এই টার্গেট গুলোকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যাব ইনশাল্লাহ। সকলের ইতিবাচক সহযোগিতা থাকলে ইনশাল্লাহ এই চিন্তাগুলোর সফল বাস্তবায়ন সম্ভব। দার্শনিক হেগেলের একটি কথা আছে ‘চিন্তা অস্তিত্বের সূচনা করে’। সেজন্য বলি, যেহেতু ভাবনার মধ্যে বিষয়গুলো এসেছে এর মধ্যে দিয়ে আসলে বাস্তবায়নের সূচনাও কিন্তু হয়েই গেছে।
কারো নতুন কোন পরামর্শ থাকলে কমেন্টে উল্লেখ করা যেতে পারে একই সাথে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যারা এই কমিটির সাথে সম্পৃক্ত হতে আগ্রহী তারা তাদের মোবাইল নাম্বার এবং ঠিকানা কমেন্টে লিখতে পারেন, আমরা এটি নোট করব এবং পরবর্তীতে আপনাদের সাথে যোগাযোগ করা হবে।