You are currently viewing কবিতা: উপমহাদেশ কাশ্মীর: ’৯৩
কাশ্মীর

কবিতা: উপমহাদেশ কাশ্মীর: ’৯৩

উপমহাদেশ কাশ্মীর: ’৯৩

মানবিক বৃত্তির যা কিছু প্রাপনীয়, কিনে নিতে হবে রক্তের দামে।
যেমন কিনে নেয় মানুষের গুলিবিদ্ধ বুক সন্তানের স্বাধীনতা, গ্রামগুলোর সম্ভ্রম।
ভূস্বর্গে আগুন জ্বলছে। আর আমাকে কে যেন চোখ বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে
বধ্যভূমির দিকে –
তবুও কি অদম্য মানুষের স্বাধীনতার গান।
স্বাধীনতা, শব্দটি পারতপক্ষে এখন আর উচ্চার্য নয় ।
স্বাধীনতা, এক উপত্যকাবাসীর ফিনকি দেওয়া রক্তের চিৎকার। লেকের ভেতর
প্রতিটি নৌকোয় এখন গুঞ্জরিত হচ্ছে কাশ্মীর। মনে হয় প্রতিটি মুখই
উদ্গীরণ করতে পারে বুলেট।
প্রতিটি যুবতীর বক্ষসুষমায় লুকিয়ে আছে বিস্ফোরক।
প্রতিটি কিশোরীর ইজ্জতের ওপর এখন রোপিত আছে স্বাধীনতার পতাকা।
অত্যাচারীর প্রতিটি রোমকূপ এখন আজাদীর রক্তে সিক্ত। স্বাধীনতা এখন
হাত বাড়িয়ে দেওয়া ইতিহাস কিংবা
ইতিহাস এখন অপেক্ষমান কাশ্মীর।


আমেরিকা তোমার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে এক কবি।
উপমহাদেশের জর্জরিত মানবাত্মার সর্বশেষ বিশ্বাসের স্তম্ভ।
আমেরিকা তোমার একটিই প্রশ্ন : ইসলামের কি এখন আর বিক্রি করার আছে?
আমরা বিনিময় করি বিশ্বাস। আমাদের আছে ঈমান। আমেরিকা
তুমি কি জানো ঈমান কী?
ডলারের স্তুপ
তোমার কৃৎকৌশল
তোমার একচেটিয়াবাজি থেকে হাত ফসকে বেরিয়ে যাওয়া
নিউক্লিয়ার ওয়েপন।
আর তোমার হাতের পাঁচ জাতিসংঘের সিন্ধুকে যা নেই।
আমাদের লেনদেন সেই বিশ্বাসের।
বিশ্বাস, যা নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে জাতিগুলোর স্বাধীনতার দীর্ঘশ্বাস, কাশ্মীর।
তোমরা, ও নরসীমা রাও
ও লাল কৃষ্ণ আদভানি, ও শ্রীবাল ঠাকরে
তোমরা কি জানো না মানুষের জন্ম হয় নারীর জঠরে?
কাশ্মীরের ধর্ষিতা যুবতীরা জানে কোন নারীর গর্ভ তোমাদের জন্ম দ্যায়নি।
তোমরা আগুনের সন্তান। ইবলিসের ঔরস থেকে ছিটকে পড়া স্ফুলিঙ্গ মাত্র।
তোমাদের বাসস্থান হাবিয়া।