You are currently viewing একটি পত্র কবিতা : খোকাবাবু , কেমন আছিস বাবা-এমআর রকি
একটি পত্র কবিতা

একটি পত্র কবিতা : খোকাবাবু , কেমন আছিস বাবা-এমআর রকি

একটি পত্র কবিতা

—–এমআর রকি ———————-

খোকাবাবু
কেমন আছিস বাবা …?

ক.দিন হতে কেন যানি মনটাকে বুঝাতেই পারছিনা, ঘুরেফিরে শুধু তোকেই নিয়ে ভাবছি। খুব…খুব বেশী মিস করছি তোকে। অনেক দিন তোকে দেখিনা, তোর তৃষ্ণায় বুকের ভিতরটা – শুকনো কাঠের মতো ফেঁটে চৌচির হয়ে গেছে। খেলার ফাকে সময় করে নাহয় আসিস একবার, তোর এই হতভাগ্য বাবার ক্লান্ত চোখের স্বপ্ন হয়ে। নাকি আজো অভিমান করে আছিস বাবার সাথে …?

প্লিজ খোকা, মান ভুলে বাবাকে দেখা দিয়েযা একবার। যানিস বাপি, তুই চলে যাবার পর তোর মামনিও কেমন যানি বদলে গেছে, এখন আর আগের মতো নেই। সেদিনের পর তোর মামনিকে একটি বারের জন্যও সত্বস্ফুত – হয়ে হাসতে দেখিনি, নিরবে ঘুমোতে দেখিনি একটি রাতেও, বিছানায় এপাশ ওপাশ হাতরিয়ে শুধুতোকে খুজে। আবার কখনো পাথরের মত নিঃশব্দে বসে থাকে তোর নিশ্চুপ সমাধীর পাশে।

তোর দাদু ভাই টা বাড়িতে একদম থাকতে পারে না, সারাটা উঠোন তোর ছোট ছোট পায়ের গুটি গুটি ছাঁপ, বাড়ির কোনায় কোনায় তোর খেলনা গুলো বুকে জড়িয়ে মাঝে মাঝেই হাউ-মাউ করে কেঁদে উঠে, দু চোখে অঝরে অশ্রু ঝরে। তোর দাদীআপুতো তোর কাছে যেতে পারলেই শান্তি পায়।

আরও পড়তে পারেন–সাংস্কৃতিক ভাবনা। “চমক লাগানো আমাদের কোনো উদ্দেশ্য নয়”

তোর গোসলের বড় মগ, বালতি, সাবান, সোবা, ওগুলো তে হাত বুলায় আর বুকে জড়িয়ে কাঁদে। আজ সবাই যেন কাঁন্নার সারথী। বাপুই, তোর মামনির মুখে শুনলাম – দুদিন আগে নাকি একবার এসেছিলি, গলায় জরিয়ে আদরও করেছিস অনেক। আমিতো মামনির মতো তোকে অতবেশী সময় দিতে পারিনি তাই বুঝি বাবার সাথে অভিমান করে আছিস …?

সরি বাপি, এই হতভাগা বাবাটাকে হ্মমা করে দিস। অর্থের পিছনে ছুটতে ছুটিতে জীবনের সবচেয়ে বড় – সম্পদের প্রতি অনাদর হচ্ছে তা আমি বুঝতে পেরেছি তোকে হারানোর পরে। যানি ফুল -পাখীর দেশে ভালো আছিস, ওখানে যারা থাকে সবাই ভালো থাকে। তবুও দোওয়া করি, ” খোদা তোকে তার প্রিয় বান্দাদের – সাথে যেন রেখে দেয় “”

………তোর বাবা খোকাবাবু

ফুল পাখি

সোনা জাদু বাপুই রে মোর
ঘুম পাগলা পাখি।
বাবার সাথে মান করে তুই
বুজলি বুঝি আখিঁ।
নিত্ব্য দিনই ভোর বেলাতে
তোর কোকিল বন্ধু খানা,
খেলতে ডাকে কুহু তোরে
শুনেনা কারোই মানা।
যানিস খোকা তোর বিহনে
মামনি তোর রোজ,
হাগু মুতুর বিছানাটায়
শুধু তোরই করে খোঁজ।
শূন্য বালিশ শূণ্য কাথা
শূন্য উঠোন খানি,
তুই ছাড়া আজ সঙ্গী শুধু
চোখের লোনা পানি।
দাদু ভাই তোর সদাই কাঁদে
খেলনা হাতে করে,
তুই ছারা বল কে ছিল তার
খেলার সাথী ওরে।
বাবার সাথে মান করে তুই
এমন করে গেলি,
ফুল বাগানে ফুলের দেশের
জুই- চামেলি-বেলী।
——-মিজানুর রহমান রকি
(’বিদ্রেহী বিবেক’ কাব্য গ্রন্থ থেকে)