You are currently viewing একজন আল্লামা সাঈদী এবং একটি অভিধার যথার্থতা
একজন আল্লামা সাঈদী

একজন আল্লামা সাঈদী এবং একটি অভিধার যথার্থতা

একজন আল্লামা সাঈদী এবং একটি অভিধার যথার্থতা

[১]

জ্ঞানী-গুণী ও সম্মানিত মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন উপাধি অথবা লকবের ব্যবহার নতুন নয়। উপাধি ব্যক্তির সঠিক পরিচয় জানতে মানুষকে সাহায্য করে। তার প্রকৃত, প্রভাবনীয় অবস্থান তুলে ধরে।

আল্লাহ তায়ালাও পবিত্র কুরআনে তার নবিদেরকে (আলাইহিমুস সালাম) বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করেছেন। যেমন: হজরত ঈসাকে (আ.) ‘মাসিহ্’, মূসাকে (আ.) ‘কালিমুল্লাহ্’ আর ইব্রাহীমকে (আ.) ভূষিত করেছেন ‘খলিলুল্লাহ্’ উপাধিতে।

রাসুলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবিদের নানাবিধ যোগ্যতা বিবেচনায় নানান উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছেন। তিনি হজরত আবু উবায়দা আমের ইবনুল জাররাহ্কে (রা.) ‘আমিনু হাজিহিল উম্মাহ্’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। আলীকে (রা.) ‘আসাদুল্লাহ্’ এবং খালিদ ইবনু ওয়ালিদকে (রা.) উপাধি দিয়েছিলেন ‘সাইফুল্লাহ্’।

ইসলামের প্রথম যুগ থেকে আজ অব্দি এমন বহু উপাধি বিভিন্ন ক্ষেত্রের পুরোধা ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তন্মধ্যে, ‘শায়খুল ইসলাম, হুজ্জাতুল ইসলাম, ইমামুল হারামাইন, শায়খুল হিন্দ, মুজাদ্দিদে জামান, ইমামুল আজম, শায়খুল হাদিস, শায়খুল কুররা’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

ইসলামি শরিয়তের বিভিন্ন বিষয়ে পণ্ডিতদের ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত আরেকটি উপাধি হলো– ‘আল্লামা’। যার অর্থ মহাজ্ঞানী ও পণ্ডিত।

‘কামুসুল আলকাব’ গ্রন্থে বলা হয়েছে— আল্লামা শব্দটি সাধারণ জ্ঞানী ব্যক্তির জন্য ব্যবহার করা শুদ্ধ নয়। যদি না ব্যক্তির জ্ঞানচর্চায় গভীর পাণ্ডিত্য ও স্বতন্ত্র অবস্থান না থাকে।

উপমহাদেশে প্রথমবারের মতো এ উপাধিটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় কবি ও দার্শনিক মুহাম্মদ ইকবালের ব্যাপারে। তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় ‘আল্লামা ইকবাল’ নামে প্রসিদ্ধ।

বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বলতে গেলে আল্লামা আহমাদ শফী, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী (রহিমাহুল্লাহু আনহুম) এই উপাধিতে ব্যাপক প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন। ‘আল্লামা’ উপাধি উক্ত তিনজন আলিমকে জনসাধারণের মধ্যে অন্যরকম প্রভাবনীয় গ্রহনযোগ্যতা এনে দিয়েছে।

[২]

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের একজন প্রভাবশালী প্রসিদ্ধ দাঈ ইলাল্লাহ্, আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী রহিমাহুল্লাহ্ ইন্তেকাল করেছেন। আল্লামা সাঈদী ছিলেন সেই সত্তর, আশি ও নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশের কুরআনের অন্যতম ডাহুক।

এই দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলায় তিনি দারাজ কন্ঠে, দ্বিধাহীনভাবে ঘোষণা করেছিলেন ইসলামের সুউচ্চ মাকাম, কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব, শিরকের মূলোৎপাটন এবং বিদআতের ভয়াবহতা। তিনি কারও পরোয়া না করে নির্বিকচিত্তে ডিফেন্ড করেছেন ইসলামকে। আমৃত্যু পথ চলেছেন শির উঁচিয়ে ও বুক ফুলিয়ে। মনে মনে লালন করেছেন শাহাদাতের তৃপ্তিদায়ক তামান্না।

বাংলার মানুষ মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীকে ‘আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী’ বলে সম্বোধন করতেন। প্রশ্ন আসতে পারে– ‘তিনি কি নিজেই নামের পূর্বে ‘আল্লামা’ শব্দটি যুক্ত করেছেন?’

উত্তর খুঁজতে গিয়ে অনুসন্ধানেচ্ছু মনে আমরা খুঁজে পাই– সাঈদী রহিমাহুল্লাহ্’কে ‘আল্লামা’ উপাধি বাংলাদেশের কেউ দেননি; তিনি নিজেও গ্রহন করেননি। ১৯৯১ সালে Muslim Ummah of North America— MUNA তাকে ‘আল্লামা’ উপাধিতে ভূষিত করেন।

আল্লামা সাঈদীর আরও বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কনট্রিবিউশনের ব্যাপারে আলোকপাত করা যাক—

[ক]

১৯৭৬ সালে তিনি সৌদি বাদশাহের আমন্ত্রণে পবিত্র হজ্জ সম্পাদন করেন। ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি রমাদান মাস বাইতুল্লাহ্ ও মসজিদে নববিতে অতিবাহিত করেছিলেন। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে, ধারাবাহিকভাবে রমাদানে বাইতুল্লাহ্ তাওয়াফ ও ওমরাহ্ করেছেন। কখনও ইতিকাফে ছিলেন মসজিদুল হারামে, কখনও-বা মসজিদে নববিতে।

[খ]

১৯৯১ সালে কুয়েত-ইরাক যু/দ্বের মীমাংসায় সৌদি সরকার মধ্যস্থতা করেছিলো। কিভাবে এই লড়াই থামানো যায়, তার পরামর্শ গ্রহণের লক্ষ্যে পৃথিবীব্যাপি প্রথিতযশা ইসলামের পণ্ডিতদের সৌদি সরকার কতৃক আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই আমন্ত্রিত অতিথিদের (প্রায় ৪০০ জন) মধ্যে পরামর্শক হিশেবে আল্লামা সাঈদীও ছিলেন।

সৌদি সরকার ৪০০ জন আমন্ত্রিত অতিথিদের পবিত্র কা’বায় প্রবেশের ব্যবস্থা করেন। এদিকে আল্লামা সাঈদীরও বহু দিনের মাকসাদ ছিলো কা’বার অন্দরে প্রবেশ করা। অবশেষে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা তার সেই নেক মাকসাদ পূরণ করেন।

আরও পড়তে পারেন–আমার দেখা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী (রহ:)

[গ]

২০০০ সালের ৮ই ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের আমন্ত্রণে আল্লামা সাঈদী ইউএই সফরে যান। সেখানে প্রায় ৫০ হাজার বাংলা ভাষাভাষী প্রবাসীর সামনে তিনি কুরআনের তাফসির উপস্থাপন করেন।

[ঘ]

তিনি লন্ডন ইসলামিক সেন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দাওয়াত পেয়ে যুক্তরাজ্য সফর করেন। একই অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাইতুল্লাহ্’র সম্মানিত ইমাম শাইখ আব্দুর রহমান আস-সুদাইস। সেই অনুষ্ঠানে তিনি প্রায় ছয় শতাধিক মানুষকে ইসলামের সুশোভিত বাগানে আমন্ত্রণ জানান।

[৩]

জালিমের কারাগারে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করার পর তার প্রতি আপামর জনতার শোক প্রকাশ নব ইতিহাসের সূচনা করেছে।

মৃত্যু পরবর্তী সময়ে কতিপয় আলিম ও দ্বীনি ভাই তার নামের আগে ‘আল্লামা’ শব্দ ব্যবহার নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তাকে দেওয়া আমজনতার আরেকটা সম্মানীয় উপাধি ‘বিশ্ববিখ্যাত মুফাসসিরে কুরআন’ নিয়েও তুলেছেন আপত্তি। ওনাদের মতে– এ দুটি বিষয় ওনার নামের সাথে জড়িয়ে দেওয়া মানে এই উপাধিগুলোর অসম্মান/অবিচার করা।

তারা আরও বলেন— ‘তার ইলমী অবস্থান ‘আহলুল ইলমগন’ সিদ্ধান্ত নিবেন।

বিনয়ের সহিত জানতে চাওয়া– ‘আহলুল ইলম কারা? নাকি তারা ‘আহলুল ইলম’ বলতে যাদেরকে নির্ধারণ করে দিবেন, তাদের বাইরে আর কাউকে মানা যাবেনা?’

এক ভাই মাওলানা আবদুল গাফফার সাহেবের নিকট প্রেরিত আল্লামা সাঈদীর চিঠিতে উল্লেখিত আরবী দু’আর মারাত্মক ভুল(?) দেখে তার ইলমের মাপকাঠি নির্ধারণ করে ফেলেছেন।

অথচ, মাওলানা আবদুল গাফফার সাহেব আল্লামা সাঈদীর খুব স্নেহভাজন ছিলেন। ছিলেন তার নিয়মিত মুসল্লীও। আল্লামা সাঈদী সম্বন্ধে মাওলানা আব্দুল গাফফার সাহেব বলেন—

‘তিনি প্রকৃত অর্থেই একজন মুফাসসির ছিলেন। কোটি কোটি ভক্ত এবং সাধারণ মানুষের চেয়ে একজন প্রকৃত আহলে ইলমের কথার ওজন আকাশ-যমিন তফাৎ!

এমন বুড়ো বয়সে জেলে থেকেও ইলম এবং এর আহলদের প্রতি এই সমর্পণ শুধু বিরল’ই না, অতি বিরল! বিশেষ করে ব্যক্তি যদি এমন স্তরের কেউ হন আর মাটি হয় বাংলা!’

মাওলানা আব্দুল গাফফার সাহেব আল্লামা সাঈদী সম্পর্কে এমন সম্মানজনক মন্তব্য করার পরও তার বরাত দিয়ে সাঈদী সাহেবকে অসম্মান করা, মনগড়া বিবৃতি দেওয়া চিরাচরিত আদর্শের হিংসাত্মক মনোভাব ফুটিয়ে তুলে।

শাস্ত্রীয় বিধান অনুযায়ী আমরা একটা মানদন্ড তৈরী করতে পারি যে— মুফতি কাকে বলে, মুহাদ্দিস কাকে বলে, মুফাসসির কাকে বলে? আবার একই শাস্ত্রীয় বিধানের প্রয়োগ করলে মুফতি, মুহাদ্দিস ও মুফাসসিরদের সংখ্যা আঙ্গুলের মাথায় গননা করা যাবে।

যে বিষয়ের ডেফিনিশন আসমান থেকে নাজিল হয়নি, মানুষ সংজ্ঞা তৈরী করেছে— সে বিষয় নিয়ে জনমানুষের একজন আলেমকে, তার ইলমকে, তার খেদমতকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, অসম্মান করা চেপে রাখা হিংসার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। আমাদের তো জানা উচিত, মানুষ যে বিষয়ের সংজ্ঞা দেয়, সিদ্ধান্ত দেয় সেটাই শেষ কথা নয়।

আমাদের উচিত ছিলো তার প্রতি হওয়া জুলুমের বিরুদ্ধে সবার সোচ্চার হওয়া। তিনি যে কুরআনের ময়দান কায়েম করতে সচেষ্ট ছিলেন, সে ময়দানকে সুশোভিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ব হওয়া। অথচ আমরা করছি ঘৃনার চর্চা। এসকল চর্চার গুণাবলী ধারন করে আমরা কিভাবে নিজেদের আহলুল ইলম দাবি করি?

ইমাম আবু হানিফা, শাফেয়ী, মালেক, আহমাদ (রহিমাহুল্লাহু আনহুম) ছিলেন ফিকহ্ শাস্ত্রের চার নক্ষত্র। ওনারা চারজনও সকল বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেন নি অথবা করতে পারেন নি। এতদসত্ত্বেও, তারা একে অপরকে জ্ঞানত বিন্দু পরিমান তাচ্ছিল্য মাত্র করেন নি।

আমরা যদি ধরেও নিই, আল্লামা সাঈদী আরবিতে ভীষণরকম দূর্বল ছিলেন। তারপরও তো তাকে ‘আল্লামা’ এবং ‘বিশ্ববিখ্যাত মুফাসসিরে কুরআন’ বলতে সমস্যা নেই। আরবি নিঃসন্দেহে পৃথিবীর প্রাচীন, সমৃদ্ধ ও আন্তর্জাতিক ভাষা। আরবি কুরআনের ভাষা, হাদিসের ভাষা, রাসূলের (স.) ভাষা। কিন্তু ‘আরবি’ কি একজন মানুষের ইলমি শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি? রাসূল (স.) ছাড়া কতজন নবি ‘আরবিভাষী’ ছিলেন বা আরবি জানতেন?

মানুষের ইলমের বিচার করতে হয় তার অবদান দিয়ে, আবেদন দিয়ে, ইখলাস দিয়ে। তিনি তার অর্জিত ইলম কতটুকু বিলিয়ে দিতে পেরেছেন, মানুষ তার থেকে কতটুকু উপকৃত হতে পেরেছে, তার খেদমতের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি ছিলো— তা দিয়ে। আরবি জানা কিংবা না জানা দিয়ে একজন আলেমকে বিচার করতে হবে, এটা একজন ‘আহলুল ইলম’ দাবিদারের জন্য ন্যাক্কারজনক ঘটনা।

আল্লামা সাঈদীর মিশন ছিলো বাংলাদেশে কুরআনের রাজ কায়েম করা। তিনি সে চেষ্টা আমৃত্যু জারি রেখেছিলেন। তিনি এ দেশের মানুষকে সাম্রাজ্যবাদ, ব্রাহ্মণ্যবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষ মতবাদ এবং জাতীয়তাবাদের আগ্রাসন সম্পর্কে সদা সতর্ক করতেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে শুরু করে মাঠের নিরক্ষর কৃষকের কান পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশবিভুঁইয়েও ইসলামের কথা বলেছিলেন। জড়িত ছিলেন আর্থসামাজিক ও জনকল্যাণমুখী নানাবিধ কাজের সাথেও।

একজন মানুষ যদি একটা ভূখণ্ডের শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, কম শিক্ষিত এবং নিরক্ষর— সকল মানুষদের মনের ভাষায় কুরআনের কথা, সুন্নাহর কথা বলতে পারেন। বুঝাতে পারেন আল্লাহর পরিচয়, কুরআনের পরিচয়, শিরকের ভয়াবহতা। তাহলে, তিনি মানুষের কাছে জ্ঞানী, পণ্ডিত এবং মানুষের ‘আল্লামা’।

[৪]

আমাদের আল্লাহ এক। আমাদের কুরআন এক। আমাদের হাদিস এক। আমাদের নবি এক। আমাদের ধর্ম এক। আমাদের সালাত, সাওম, কুরবানি এক। আমাদের আখিরাত, ফুলসিরাত, জান্নাত, জাহান্নামও এক। আমাদের শরিয়তও অভিন্ন।

আমাদের ফরজ, সুন্নাহ্ ও ওয়াজিব এক। আমরা একই সাহাবি, তাবেয়ি ও তাবে-তাবেয়ির পরবর্তী প্রজন্ম। আমরা মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহিমের (আ.) সন্তান।

আমরা ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম মালিক, ইমাম আহমাদ, ইমাম আবু ইউসুফ, ইমাম ইবনু তাইমিয়া, ইমাম ইবনু জাওজি, ইমাম ইবনু কাসীর, ইমাম তাবারী, ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী, আল্লামা আনোয়ার শাহ্ কাশ্মিরী, আল্লামা আহমাদ শফী, মুফতী ফজলুল হক আমিনী, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, আল্লামা সাঈদী রহিমাহুমুল্লাহদের উত্তরসূরী।

আমাদের আলিমগণ, আকাবিরগণ যদি কুরআন-সুন্নাহ্’র ঝাণ্ডাবাহী হয়ে থাকেন, তাহলে আমরা তাদের সবার উত্তরসূরী। আমাদের মতাদর্শিক পার্থক্য গৌণ। আমারা পরস্পরের মুখোমুখি হবো ভালোবাসা আর হৃদ্যতা নিয়ে। আমাদের মতপার্থক্য যেন আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরী না করে।

আমাদের মধ্যকার মতপার্থক্য, মতাদর্শের ভিন্নতা যেন আমাদের ঘরেই থাকে। কারণ, এসব মতপার্থক্য বাইরে এলে জালিম, স্বৈরাচার ও শাহবাগীরা আমাদের উপর চড়াও হওয়ার সুযোগ পায়। জালিমের ব্যাপারে আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং সেটা আমাদের মতপার্থক্য, মনগড়া বিবৃতির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।

হক কথা যেন আমাদের মুখ থেকে সবার জন্যই বের হয়। নিজ ঘরনা দল-ই হক, বাদ বাকীরা চলচাতুরে— এমন জ্ঞানপাপ থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ্ চাই।

.

Kazi Shakhawat Hossain

প্রাসঙ্গিক তথ্য:

১. আওয়ার ইসলাম ২৪

২. সমসাময়িক বিতর্ক, বিবৃতি।