You are currently viewing উপন্যাস। বিবিয়ানা। কিঙ্কর আহ্সানকে খোলা চিঠি- বিদ্রোহী শিহাব
উপন্যাস। বিবিয়ানা। কিঙ্কর আহ্সানকে খোলা চিঠি- বিদ্রোহী শিহাব

উপন্যাস। বিবিয়ানা। কিঙ্কর আহ্সানকে খোলা চিঠি- বিদ্রোহী শিহাব

প্রিয় কিঙ্কর,
জানতে চাইবো না আজ কেমন আছেন আপনি, কেমনইবা চলছে আপনার দিনরাত্রি। হয়তো ভালো আছেন “পৃথিবী বইয়ের হোক” স্লোগানে মুখরিত করে পাঠকমহলে আলোড়ন সৃষ্টি করা মানুষটি। যিনি বইয়ের দিকে পাঠকমহলকে পুনশ্চ ফিরোনায় নেশায় মগ্ন, সে মানুষটি ভালো থাকারই কথা। উপন্যাস

দাদা, দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেলো বইমেলা। একটি মাস হয়তো প্রতিটি লেখক ও লেখিকা ভিন্নরকম এক আতঙ্কের মাঝে ছিলো, আপনিও সে দলেরই একজন। হয়তো সে আতঙ্কটুকু হলো- পাঠকমহলে লেখক ও লেখিকার লিখিত বই কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে এই ভেবে। উপন্যাস

লেখক ও লেখিকা, শত শত রাত জাগ্রত থেকে অপ্রকাশিত অনুভূতি চয়ন করে চোখ দুটো রক্তলাল করে গিয়েছেন; পাঠকমমহলে নিজের অনুভূতির পৌঁছানার নেশায়। হয়তো নেশাটুকু পূরণ হয়েছে বইমেলার মধ্য দিয়ে। হয়তো অপ্রকাশিত অনুভূতিগুলো পাণ্ডুলিপির মাঝে দেখে পাল্টাবে সমাজের নাড়িভুঁড়ি, পাল্টাবে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি। হয়তো এখানে লেখকের সার্থকতা, যখনই তারই কিছু কথনের জয়ধ্বনিতে কড়া নেড়ে যায় এই সমাজেরই এই দেশেই মানুষের বিবেকের দরজায়।

প্রত্যেক লেখক/লেখিকার লিখনিতে সুভাস পাওয়া যায় ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতির ঘ্রাণ।
লেখক লিখে চলে-
দুই মনের মিলন ঘটে
যে ভালোবাসার আত্মপ্রকাশ হয়,
সে ভালোবাসার খুনসুটির গল্প নিয়ে ।
হঠাৎ- হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার মানুষটার
অপেক্ষায় অপেক্ষারত মানুষটির কথা।
শুধুই কি ভালোবাসার গল্প লিখতে লিখতে,
লেখকের দিন যায় সেটা কিন্তু নই।
লেখকের লিখনিতে কখনো ফুটে উঠে,
মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনের গল্প।
কখনো কখনো স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ,
সে পুরুষের জীবনকথন ফুটে উঠে।
স্বাধীন দেশে কতটুকু স্বাধীন আমি,
ভোট আজ কেন অনাগ্রহের কেন্দ্রকিন্দু।
কখনো কখনো অন্ধকার পথ হতে
আলোর পথের ফিরিয়ে আনার গল্প
বলে যায় লেখক
এভাবে চলে লেখকের লিখনি…..

বাংলা উপন্যাস

অত্যন্ত আনন্দের বিষয় আপনার সদ্য প্রকাশিত “বিবিয়ানা” উপন্যাসটি পড়ার সুযোগ হয়েছে। বলছি “বিবিয়ানা” উপন্যাসটি নিয়ে ক্ষণিকের তরে…..
বিবিয়ানা!! শুধুই কি বর্ণের পিঠে বর্ণ বসিয়ে শব্দের পাহাড় গড়ে লেখক তার অনুভূতি প্রকাশের মহাযজ্ঞ গড়ে তুলে মাত্র? নিশ্চয় না না না। বিবিয়ানা, বিলাসী বিবির কেন্দ্রিক হলেও বিবিয়ানা কথা বলে- অজো পাড়া গাঁ হতে শিক্ষিত হওয়া পুরুষের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির কথা। বিবিয়ানা বলে যায়, বিবির কাছ হতে একজন স্বামীর চাওয়াটুকু। বিবিয়ানা বলে যায়- উঠতি যুবতির হরেক রকমের স্বপ্নের বীজ বোপণের কথা সেই সাথে হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা। বাংলা উপন্যাস

–আরও পড়ুন– কবি নার্গিস নাহার রুনু’র ১১৮ টি ছড়া কবিতা

জীবন মানে তো বিছানা আদর সোহাগ সন্তান। এ জীবনে সময়ের পরিবর্তনে পরিবর্তন হয় অনেককিছু। শহরে এসে বদলে যায় ভালোবাসার নিদর্শনও। বেলিফুল হয় পপকর্ণ আর ভালোবাসা হয় টাকা। পরিবর্তন ঘটে প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির পাণ্ডুলিপিতে অনেককিছু। তবুও ভালোবাসা খুঁজে বেড়ায় ব্যস্তময় শহরের বদ্ধ প্রাচীরে আবদ্ধ ভালোবাসার মানুষগুলোকে। ভালোবাসা হয়তো দিনশেষে সকল বাঁধা ফেরিয়ে ছুটে চলে স্ব গতিতে স্ব গন্তব্যে। ভালোবাসার নেশায় ছুটে চলে নারী পুরুষ! বাংলা উপন্যাস
প্রতিজনের মাঝে থাকে ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতির আদরে সৃষ্ট স্বপ্ন।

ভালোবাসা সে তো জীবনেরই একটি অংশ! সে জীবন নিয়ে লিঙ্গভেদে থাকে ভিন্ন রকম চাহিদা। নারীর কাছে জীবন মানে হয়তো- বিছানা আদর সোহাগ সন্তান। অল্প সময়ে বেড়ে উঠে মেয়েরা, সে সময়ে থাকে শরীরে ঢেউ আর সে ঢেউয়ে পাগল হয় ছেলেরা।

একসময় জীবনের পরিচয়ে পরিচয় হয়ে উঠে অচেনা অজানা শরীরের কিন্তু একসময় অচেনা অজানা শরীর হয়ে উঠে পরিচিত। সে পুরুষ শক্তি রাতের আঁধারে হয়ে উঠে রাক্ষুসে শক্তি, এ শক্তির সহিত পেরে উঠে না নারী শক্তি। হয়তো রাতের আঁধারে পুরুষ অর্ধাঙ্গীনির শরীরে আচল সরিয়ে ছোটখাটো বাটির মত চক্রনাভির মুখ রাত্রির সুখ খুঁজে আর সে সুখের বিরক্ত হয়ে উঠে মাঝেমধ্যে অর্ধাঙ্গীনিরা! তখন তারা হয়তো তারা রাত্রিযাপনে পুরুষ হয়ে উঠে শরীরখেকো।

রাত্রিময় দিনে অর্ধাঙ্গিনীরা বুঝার চেষ্টা করে, পুরুষদেরও অই কাপড়ের নিচে থাকা শরীরটা তারপর অনেক অনেক গভীরে থাকা একটা মন সবকিছু পড়ে ফেলে ঐ অর্ধাঙ্গিনী, তাদেরই একজন সাভেরা। শহুরে পরিবেশে বেড়ে উঠা এক নারী যে সবকিছু শুধু নিজেরই করে নিতে চাই, যেটা তার সেটাতে অন্য কারোর ভাগ বসাতে নারাজ সে। উচ্চ বিলাসী বিবি, অন্যকে নিয়ে ভাববার সময় নেই, কিন্তু একটি সময়ে সে উচ্চ বিলাসী বিবি সাভেরাও ভাবে; আশেপাশে মানুষের কথা। স্বপ্ন দেখে সংসারে তারই কোলে আসুক কোন এক সন্তান। যারই দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দিক সারাটিবছর। হয়তো স্বপ্নগুলো শুরু হয় ভালো লাগা থেকে, কিন্তু সাময়িক ঝামেলায় মগ্ন হয়ে দেখা দেয় সন্দেহ যা একটি সম্পর্ককে বেঁচে থাকার তরে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। তবুও বিবিয়ানার সম্পর্কে ছুটে চলে বহমান নদীর স্রোতে, তবুও ক্ষণিকের তরে কালবৈশাখী ঝড় বাঁধা দেয়।

বিলাসী বিবি সাভেরার স্বামী, কালা মিয়ার ভাই জালাল। কালা মিয়ার স্ত্রী ফজিলাত, তাদেরই সংসারে এক মেয়ে রোকসানা ও এক ছেলে সৈকত। অজো গাঁ হতে উঠে আসা সরকারি বড় অফিসার জালার। এ পর্যায়ে আসতে কষ্ট করতে হয়েছে অনেক। সে কষ্টের ভাগিদার বড় ভাই কালা মিয়াও। সরকারি জালাল অনেক ব্যস্ত। পুরুষ আবার ব্যস্তময় ব্যক্তি, ব্যস্ত মানুষকে কেউ ঘাঁটায় না ও তেমন। বিয়ে করেছেন শহুরে পরিবেশে বেড়ে উঠা সাভেরাকে। বিয়ে করে সুখী থাকারই কথা, কিন্তু কেন জানি চাওয়া পাওয়ার মাঝে আছে দূরত্বরেখা। সে দূরত্বরেখা তাদেরই জীবনে একটি প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে। গড়ে উঠা প্রাচীরই জীবনে বিগত প্রেমিকা মল্লিকার নামটি পুনশ্চ জমাট বেঁধেছে হৃদয়ের দখিনা দুয়ারে।

একপাশে বিগত প্রেম ও সাভেরা অন্যপাশে কালা মিয়ার পরিবার। জালাল আজ অনেক বড়। আজ সবকিছু নিয়ে যেন তাকে ভাবতে হয়।
ভাবনার ঘরে জালাল মাঝেমধ্যে ভাবে, একটি বয়সে সে পুরুষ আর নিজেদের জন্য কাঁদেনা। তাদের কান্নাও অন্যদের জন্য। পুরুষ হলে কাঁদতে নেই। এভাবেই পুরুষ প্রেমিক,স্বামী,বাবা, দাদা হওয়ার পর একদিন ক্লান্ত হয়ে বুড়িয়ে যাওয়া শরীরটা নিয়ো মরে যায়। দুর্বল ঘাস হয়, বিষণ্ণ পাখি হয়। আচ্ছা একটা বয়সের পর মেয়েদের ক্ষেত্রে কেমন হয়? তাদের কষ্টগুলো এমনই নাকি অন্যরকম।

লিখতে ইচ্ছে হয়েছে ভুটানের পুনাখা শহরের সে গোলাগাল চেহেরার মুচকি হাসি দেওয়া প্রেমাম থেকে শুরু করে জালালের সেই মল্লিকাকে নিয়েও কিন্তু হাতে তেমন সময় নেই, আজ আর লিখছি না; অন্যকোন একদিন লিখবো না হয় ভিন্ন কোন উপন্যাস নিয়ে।
ইতি-
শিহাব
উপন্যাস । বিবিয়ানা । কিঙ্কর আহ্সানকে খোলা চিঠি- বিদ্রোহী শিহাব , উপন্যাস । বিবিয়ানা। কিঙ্কর আহ্সানকে খোলা চিঠি- বিদ্রোহী শিহাব, উপন্যাস । বিবিয়ানা। কিঙ্কর আহ্সানকে খোলা চিঠি- বিদ্রোহী শিহাব, উপন্যাস। বিবিয়ানা। কিঙ্কর আহ্সানকে খোলা চিঠি- বিদ্রোহী শিহাব, উপন্যাস । বিবিয়ানা। কিঙ্কর আহ্সানকে খোলা চিঠি- বিদ্রোহী শিহাব

Leave a Reply