ইন্ডিয়া আউট
আমারদেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান তার পত্রিকার সম্পাদকীয়তে ভারতের পন্য বর্জনের পাশাপাশি , আরো দশটি কাজ করার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের গনতন্ত্রকামী মানুষের প্রতি।
মাহমুদুর রহমান তার লেখনীতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী নানা ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারীর “ডামি নির্বাচন” প্রমাণ করে দিয়েছে, কথিত স্বাধীন বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষে দিল্লির উপনিবেশে পরিণত হয়েছে। ভারতীয় পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন লেখাতে ওই দেশের সব বিখ্যাত সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নির্দ্বিধায় মেনে নিয়েছেন যে, বাংলাদেশের সর্বশেষ নির্বাচনী তামাশায় গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানও বজায় রাখা হয় নাই এবং বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ একদলীয় ভোট বর্জন করেছে। শামসুল হুদা (২০০৮), রকিব(২০১৪) এবং নুরুল হুদার (২০১৮) মতই ভারত ও হাসিনার সেবাদাস হাবিবুল আউয়াল কমিশন (২০২৪) ভোট প্রদানের হার ৪১ শতাংশ দেখালেও প্রকৃত ভোট যে ১০ শতাংশেরও নীচে ছিল, সেই তথ্যের উল্লেখও প্রতিটি সংবাদে রয়েছে।
তিনি লেখেন, নব্বই শতাংশ মুসলমান অধ্যুষিত, ১৮ কোটি জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশ একবিংশ শতাব্দিতেই বিনা প্রতিরোধে দিল্লির বশ্যতা স্বীকার করেছে। মালদ্বীপের মাত্র পাঁচ লাখ মুসলমান মোদি সরকারকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সেই দেশ থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে সকল ভারতীয় সৈন্য সরিয়ে নেয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে। ভারত মহাসাগরের অতি ক্ষুদ্র দেশটির মন্ত্রিরা নরেন্দ্র মোদিকে ভাঁড়, সন্ত্রাসী এবং ইসরায়েলের চামচা বলে উপহাস করেছে। আর আমরা “গুজরাটের কসাই” নামে বিশ্বে পরিচিত, ভারতীয় মুসলমানের রক্তপিপাসু, সেই ভারতীয় প্রভুর চরণতলে সকল আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিয়ে এখন মুক্তির জন্য কাপুরুষের মত ওয়াশিংটনের দিকে তাকিয়ে আছি।
ফলে, কোন ভারতীয় সামরিক আগ্রাসন ছাড়াই আমরা স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধে পরাজিত হয়ে নিজ দেশে আজ পরাধীনতার গ্লানি বয়ে বেড়াচ্ছি। আমার ধারনা, পারমানবিক শক্তিধর, কট্টর হিন্দুত্ববাদি, বিশাল এবং আজন্ম আধিপত্যবাদি ভারত ও তাদের এ দেশীয় দালালদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম দীর্ঘমেয়াদী ও কঠিন হবে। তাই আর বিলম্ব না করে প্রতিরোধ যুদ্ধ এখনই আরম্ভ করা উচিৎ। ভারতীয় অর্থনৈতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের সেই সংগ্রামের সূচনা হতে পারে। সকল দেশপ্রেমিক শক্তির মধ্যে আলোচনা করে চূড়ান্ত কর্মসূচি প্রণয়ন করা আবশ্যক। সেই কর্মসূচি প্রণয়নে সহায়ক হতে পারে বিবেচনা করে প্রাথমিক লড়াইয়ের একটি সংক্ষিপ্ত প্রস্তাবনা দিয়ে আজকের সম্পাদকীয় শেষ করব:
১) দেশের অভ্যন্তরে ভারতের দালাল গোষ্ঠীর (সামরিক ও বেসামরিক আমলাশ্রেণি, বিচার বিভাগ, ব্যবসায়ী, মিডিয়া, সাংস্কৃতিক কর্মী এবং সুশীল) একটি তালিকা প্রস্তুত করুন।
২) ভারতীয় পণ্য, যেমন, নারীপুরুষের পোষাক, গহনা, এবং অন্যান্য বিলাস দ্রব্য বর্জন করুন।
৩) ভারতীয় সিনেমা এবং টেলিভিশন চ্যানেল বর্জন করুন। বাংলাদেশে ভারতীয় শিল্পীদের অনুষ্ঠান বয়কট করুন।
৪) বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে ভারতীয় নাগরিকদের পরিবর্তে বাংলাদেশি তরুনদের নিয়োগ দিন। বিদেশি বিশেষজ্ঞদের একান্ত প্রয়োজন হলে ভারত ব্যতীত সার্কভূক্ত অন্যান্য দেশের নাগরিকদের নিয়োগ দিন।
৫) ভারতীয় চ্যানেলে বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ করুন।
আরও পড়তে পারেন–India Out Campaign : indian product বর্জণের ১৯টি করন জেনে নিন
৬) কেনাকাটা করতে অথবা বেড়ানোর উদ্দেশ্যে ধনবানরা ভারত গমন বন্ধ করুন। আপনারা দেশের শত্রুকে সহায়তা করছেন।
৭) যতটা সম্ভব নিজের দেশে চিকিৎসা নিন। অধিকতর চিকিৎসার প্রয়োজনে ভারতের পরিবর্তে কাছের অন্যান্য দেশে যান।
৮) বাংলাদেশের হাসপাতালসমূহে সেবার মান বৃদ্ধি করুন, দক্ষতা বাড়ান এবং চিকিৎসার ব্যয় কমান।
৯) বাংলাদেশে ভারতের চিহ্নিত দালাল শিল্প গোষ্ঠীসমূহের প্রস্তুতকৃত পণ্য ও সেবা কেনা বন্ধ করুন।
১০) ভারতের দালাল মিডিয়াসমূহকে বয়কট করুন। এই সব প্রতিষ্ঠানের পত্রিকা কিনবেন না, টেলিভিশন দেখবেন না।
It could be the beginning of that struggle against Indian economic aggression and to restore independence in the cultural arena. A final program must be formulated through discussion among all patriotic forces. I’ll close today’s editorial with a brief introduction to the primary fight, considering that it might be helpful in formulating that program:
1) Prepare a list of India’s proxy groups within the country (military and civilian bureaucracy, judiciary, businessmen, media, cultural activists and civil society).
2) Avoid Indian products, ie, men’s clothing, jewellery, and other luxury items.
3) Ban Indian movies and television channels. Boycott the shows of Indian artists in Bangladesh.
4) Employ Bangladeshi youths instead of Indian nationals in various industrial establishments. Recruit nationals of SAARC countries other than India if foreign experts are strictly required.
5) Stop advertising Bangladeshi products on Indian channels.
আরও পড়ুন–প্রতিবাদ হিসেবে ‘বয়কট’ কেমন কর্মসূচি এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আলাপ
6) Rich people stop traveling to India for shopping or sightseeing. You are helping the enemy of the country.
7) Get treatment in your own country as much as possible. For further treatment go to other nearby countries instead of India.
8) Improve quality of service, increase efficiency and reduce cost of treatment in hospitals in Bangladesh.
9) Stop buying products and services manufactured by identified broker industry groups of India in Bangladesh.
10) Boycott Indian media brokers. Don’t buy magazines from these organizations, don’t watch television.