সাংবাদিক , শিক্ষক ও গবেষক । সবচেয়ে তথ্যনির্ভর ও নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্র গবেষক । ১৮৯৬ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের ইতিহাস সম্বলিত গ্রন্থ, ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন কর্তৃক প্রকাশিত “বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাস” তার দীর্ঘ গবেষণার ফসল ।
তার লেখা “বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের ইতিহাস” বইটিতে চলচ্চিত্র, চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট নেপথ্য কলাকুশলী , চলচ্চিত্রের কারিগরি বিষয় সমূহ, বিভিন্ন চলচ্চিত্রে স্থিরচিত্র সহ কালাক্রমিক ইতিহাস রয়েছে । সর্বোপরি বইটিতে বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালী ইতিহাস ঐতিহ্য সুনিপুণভাবে গ্রন্থিত হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি , বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতি , নজরুল একাডেমী , বাংলা একাডেমী , বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অধ্যায়ন কেন্দ্রের সঙ্গে জড়িত ।
তিনি বাচসাস পুরস্কার সহ শিল্প সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য অনেক অনেক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভুষিত হয়েছেন ।
অনুপম হায়াৎ ১৯৫০ সালের ১ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদীর পূর্বতীরে গোপিন্দী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
অনুপম হায়াৎ ১৯৬০ এর দশকের শেষদিকে প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক আলমগীর কবিরের লেখা পড়ে চলচ্চিত্রের বিষয়ে লেখায় আগ্রহী হয়ে উঠেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় তিনি “গণযোগাযোগ ও মোসন গ্রাফিক্সে” কোর্স করেন। চলচ্চিত্রের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাতে অবদান রেখে তিনি তার লেখার দক্ষতা সমৃদ্ধ করেন।
তার লেখা বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৫০টি।
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে যেখানে আপনি হাত দিবে অনুপম হায়াৎ সেখানেই অপরিহার্য।
আজকে ৭৪ তম জন্ম দিনে প্রিয় লেখককে কল করেছিলাম শুভেচ্ছা জানাতে- সহজ সরলভাবে বললেন- আজকে আমার নাতিরও জন্মদিন- আমি শুথু তোমাদের দোয়া চাই। –
শুভেচ্ছা আপনাকে অনুপম হায়াৎ! শুভ জন্মদিন!
হায়াতের লেখা এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন কর্তৃক ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত[২] ‘বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের ইতিহাস (১৮৯৬-১৯৯৭)’ বইটিতে চলচ্চিত্র, বিভিন্ন চলচ্চিত্র কর্মী এবং ঐতিহাসিক ঘটনাবলির ছবিসহ কালানুক্রমিক ইতিহাস রয়েছে। একাধারে তিনি একজন নজরুল গবেষক। নজরুলকে নিয়ে তিনি গবেষণা করছেন ১৯৭৪-৭৫ সাল থেকে। এ পর্যন্ত কাজী নজরুল ইসলামের উপর তার লেখা বইয়ের সংখ্যা ৯টি।[৩] তার অন্যান্য বই যেমন চলচ্চিত্র জগতে নজরুল ও নজরুলের নাটক : বিষয়, আঙ্গিক ও বৈচিত্র্য, জহির রায়হানের চলচ্চিত্র : পটভূমি, বিষয় ও বৈশিষ্ট্য, মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র এবং অন্যান্য , রবীন্দ্রনাথ ও চলচ্চিত্র এবং জীবনীগ্রন্থ ফাতেহ লোহানী গত তিন দশক ধরে চলচ্চিত্র শিক্ষানবিশ এবং সমঝদারতের পরিপুষ্ট করে চলছে।
চলচ্চিত্র সমালোচনায় তার অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে, অনুপম হায়াতকে ২০১১ সালে ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হয়.
কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য নিয়ে গবেষণা ও চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য নজরুল পুরস্কার (২০১২)।
চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য শিল্পকলা পদক ( ২০১৯)।
‘বঙ্গবন্ধু ও চলচ্চিত্র’ বইয়ের জন্য সমরেশ বসু সাহিত্য পুরস্কার-২০২০
কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য নিয়ে গবেষণা ও চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য নজরুল পুরস্কার (২০১২)।
চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য শিল্পকলা পদক ( ২০১৯)।
‘বঙ্গবন্ধু ও চলচ্চিত্র’ বইয়ের জন্য সমরেশ বসু সাহিত্য পুরস্কার-২০২০
১৯৯৪ সালে ফিল্ম স্টাডি সেন্টার প্রতিষ্ঠায় হায়াতের প্রশংসনীয় অবদান রয়েছে এবং ২০০৪ সালে তিনি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এর ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডি বিভাগের শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেছিলেন। অনুপম হায়াৎ বলেন, বাংলাদেশে চলচ্চিত্র অধ্যয়নে পাঠ্যপুস্তকের ঘাটতি খুঁজে পেয়ে তিনি চলচ্চিত্র গবেষণায় পাঠ্যপুস্তক লেখার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।