অকৃতজ্ঞ মানুষ পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট এই কথাটি যুগে যুগে গুণী, জ্ঞানী ও মহা মণীষীরা বলে গেছেন। চরম সত্য কথা: তুমি যদি কাউকে কোনো উপকার করো- একদিন সেই মানুষটিই সবচাইতে আপনার বেশি ক্ষতি করবে বা করার চেষ্টা করবে। আজকের আর্টিকেলে অকৃতজ্ঞ মানুষ নিয়ে উক্তি সহ অকৃতজ্ঞ মানুষ বিষয়ে আল কুরআন কি বলেছে জানতে পারবেন। আরও জানতে পারবেন অকৃতজ্ঞ বন্ধু নিয়ে উক্তি
অকৃতজ্ঞ মানুষ নিয়ে উক্তি
জীবনে রাস্তা আর মানুষ এই দুই যে চিনতে পারবে তার কপালে দুঃখ কম। এই পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো মানুষ চিনতে পারা।যার মুখে খাবার তুলে দিবেন পরদিন এসেই আপনার পেটে লাথি মারবে। সবচেয়ে অকৃতজ্ঞ জাতি হলো মানুষ।
যিনি উপকারের কথা স্বীকার করে না তিনি অকৃতজ্ঞ
আর যিনি উপকারীর ক্ষতি করে তাকে কি বলা হয় জানেন কি???
কৃতঘ্ন
এইরূপ কিছু ভাইদের সাথেই চলতে হয় আবার মানুষ দেখানোর জন্য হাসি মুখে কথাও বলতে হয়। এটা আমার দুর্বলতা নয় বদান্যতা।
মিথ্যার সহায়তায় জয়ী হওয়া যায় না। যোগ্য ব্যক্তিরাই জয়ী হয় কাজের মাধ্যমে অপেক্ষা শুধু সময়ের।
তাই কে কি বলল সেটা মাথায় নিয়ে নিজের কাজের গতি কমাবেন না, সাফল্য আসবেই ইনশাআল্লাহ। শুধু একটা জিনিস মাথায় রাখবেন. যে কাজ করছেন তা যেন ইসলামের সাথে কোনভাবেই সাংঘর্ষিক না হয়। হালাল উপার্জনে কস্ট হবে ভাই কিন্ত পরিতৃপ্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ।
❝যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় কর, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের নিয়ামত বাড়িয়ে দিব। আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয়ই আমার আজাব বড় কঠিন।❞ (সূরা ইবরাহিম : আয়াত ০৭)
“মানুষেরা মনে রাখে না যে আপনি তাদের কতো সহস্র বার সাহায্য করেছেন, তারা শুধু আপ
নার সামান্য অনুপস্থিতিকেই মনে রাখে।
-সংগৃহীত।
এমন কোনো অকৃতজ্ঞ লোকের জন্য নিজের সময় এবং আবেগ কে বিনিয়োগ করবেন না, যে ভাবে তার এই মানসিক রোগকে আপনি নিরাময় করতে পারেন।
-সংগৃহীত।
বেশীরভাগ সময়ই, লোকেরা এটা লক্ষ্য করে না যে আমরা তাদের জন্য কি করি। তারা তখনই লক্ষ্য করে যখন তাদের আবার কোনো কিছুর প্রয়োজন হয়। মাঝখানের সময়টুকু তারা অন্ধ সেজে থাকে।
অকৃতজ্ঞ
মানুষ কী?
মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ ; এই কথাটি মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন শরীফে অনেক বার বলেছেন।
অধিকাংশ মানুষই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না।
[সূরা আল-ইউনুস (১০), আয়াতঃ ৬০]
নিশ্চয় মানুষ অত্যন্ত অন্যায়কারী, অকৃতজ্ঞ।
[সূরা আল-ইব্রাহীম (১৪), আয়াতঃ ৩৪]
তাদের অধিকাংশই অকৃতজ্ঞ।
[সূরা আন-নাহল (১৬), আয়াতঃ ৮৩]
মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ।
[সূরা আল-ইসরা (১৭), আয়াতঃ ৬৭]
নিশ্চয় মানুষ বড় অকৃতজ্ঞ।
[সূরা আল-হাজ্জ্ব (২২),আয়াতঃ ৬৬]
অধিকাংশ লোক অকৃতজ্ঞতা ছাড়া কিছুই করে না।
[সূরা আল-ফুরকান (২৫), আয়াতঃ ৫০]
তাদের অধিকাংশই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।
[সূরা আন-নাম’ল (২৭), আয়াতঃ ৭৩]
বাস্তবিক মানুষ স্পষ্ট অকৃতজ্ঞ।
[সূরা আয-যুখরুফ (৪৩),আয়াতঃ ১৫]
মানুষ ধ্বংস হোক, সে কত অকৃতজ্ঞ!
[সূরা আল-আবাসা (৮০), আয়াতঃ ১৭]
নিশ্চয় মানুষ তার পালনকর্তার প্রতি বড়ই অকৃতজ্ঞ।
আর সে নিজেই এ বিষয়ের (তার অকৃতজ্ঞতার) সাক্ষী।
[সূরা আল-আদিয়াত (১০০),আয়াতঃ ৬-৭]
কৃতজ্ঞ এবং অকৃতজ্ঞ দুধরনের মানুষ রয়েছে।যারা কৃতজ্ঞ , তারা এক গ্লাস পানির জন্য ও কৃতজ্ঞতা অনুভব করে । ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাওয়া নিয়ে ও তারা চরম কৃতজ্ঞ। তাদের রুহ এবং নফস দু’টো পরিপূর্ণ থাকে কৃতজ্ঞতায়।তাদের অন্তর প্রাচুর্যময় । তারা কতোই না সৌভাগ্যবান।আর যারা অকৃতজ্ঞ, তাদের এক পাহাড় সম বোঝা বয়ে এনে দেওয়ার পরও অকৃতজ্ঞ মন নিয়ে অভিযোগ এবং আফসোস এর প্লাবন এনে দেয়। তাদের অন্তর কত না দারিদ্রময় । হায় ! তারা কতোই না দুর্ভাগ্যবান।
আরও পড়ুন-মহান ব্যাক্তিদের সময় নিয়ে উক্তি ও ২০০টি শ্রেষ্ঠ বাণী
দিন শেষে অ’কৃতজ্ঞ বেঈমান মানুষ গুলো
ভালো থাকে।
শুধু ভালো থাকা হয় না সহজ সরল
মানুষ গুলোর।
কারণ অপর প্রান্তের মানুষ গুলো বোকা
ভেবে ধোঁকা দিয়ে চলে যায়।
আমি মানুষে সাথে প্রবঞ্চনা করি
অকৃতজ্ঞ অমানুষ মূল্যহীন
আমি কখনো কারো আপন হতে পারি নাই
এবং আপন হতেও চাই না
নিজেকে এখন বেইমান, অকৃতজ্ঞ মানুষদের থেকে দূরে রাখিনয়তো তাদের ভিড়ে নিজেই কখন অমানুষে পরিনত হয়ে যাই,বলা যায় না
অমানুষের মনেও ভালোবাসা থাকে কিন্তু অকৃতজ্ঞ মানুষের কিছুই থাকে না..নিরব ভালোবাসার কথা বলতে আসছে ” অমানুষ”
অকৃতজ্ঞ মানুষগুলো সবসময় নিজেকে নিয়ে ভাবে,
যাদের চরিত্র সামনে এক পিছনে ভিন্ন।
কষ্ট হলেও তাদের থেকে দূরে থাকা শ্রেয়,
না হয় জীবন নেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে ওরা।
অকৃতজ্ঞ বন্ধু নিয়ে উক্তি
বন্ধু গরীব হইলে অসুবিধে নেই,অকৃতজ্ঞ হইলে সমস্যা।অকৃতজ্ঞ বন্ধুর চেয়ে কৃতজ্ঞ শত্রু ভালো
স্বার্থের জন্যে কঠিন হও ঠিক আছে,
কিন্তু উপকার ভোগ করে অকৃতজ্ঞ হয়োনা
কেননা এটি আপনার পরবর্তী উত্তরসুরীর জন্য উদাহরণ ও ঘৃন্য বুঝা হয়ে থাকবে।
যারা অকৃতজ্ঞ তারাও মাঝেমাঝে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে,
তবে তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষাটা
উপকারীকে অকৃতজ্ঞ বানিয়ে ফেলে।
‘আরও পড়তে পারেন–দেশপ্রেম রচনা , দেশপ্রেম কি? দেশপ্রেম নিয়ে উক্তি
ভালো রা ভালো,
খারাপ রা খারাপ
বলে আমাকে।
আসলে যাঁর যেমন প্রয়োজন সে বুঝে ততোটা তাকে!
দুর্বল সাহায্য চায়,
আবার সবল হলেই বলে কই কি করছো? আমিঃ কি অসহায়? আকুতি মিনতি সব ভুলে যায়!
মানুষ কে বুঝা দায়?
খুব দ্রুত অকৃতজ্ঞ হয়ে যায়!
অকৃতজ্ঞ’ মনোযোগ দিয়ে লেখাটি পড়লে উপকৃত হতে পারেন
Liaquat Ali Khan
অকৃতজ্ঞ মানুষ পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট এই কথাটি যুগে যুগে গুণী, জ্ঞানী ও মহা মণীষীরা বলে গেছেন। চরম সত্য কথা: তুমি যদি কাউকে কোনো উপকার করো- একদিন সেই মানুষটিই সবচাইতে তোমার বেশি ক্ষতি করবে বা করার চেষ্টা করবে। সামান্য স্বার্থের কারণে তোমায় ছেড়ে চলে যাবে। এই সংখ্যাটা বর্তমানে খুবই বেশি- তাই বলে আমি বলছিনা যে সবাই একই রকম। সত্যি কথা বলতে আজকাল খারাপ মানুষের ভীঁড়ে ভাল মানুষ খুঁজে পাওয়া বড় দায়।
জগতের সিংহভাগ মানুষগুলোই সার্থান্বেষী- অকৃজ্ঞ, স্বার্থ ছাড়া কিছুই করতে নারাজ। একটি কুকুর বা বেড়ালকে যদি সামান্য খাবার দেও, দেখবে সেই কুকুর বা বেড়ালটি তোমার পিছু ছাড়বে না, পদলেহন করবে- বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়বে, যার আনুপাতিক হার ৯৯% ! কিন্তু মানুষ- সে ক্ষেত্রে ১%ও না! দিন দিন মানুষের আচরণগুলো পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আজ যার প্রতি করুণা করে তুমি পাশে গিয়ে দাঁড়াবে, বিপদে সাহায্য করবে- ঠিক এই মানুষটিই একদিন অবলীলায় তোমার প্রতি কৃতজ্ঞ না থেকে বিরোধিতা করবে। সম্ভব হলে তোমাকে ধ্বংস করে দিতে চাইবে- এটাই বাস্তবতা।
তুমি যাদের বিপদে খাওয়াবে, পড়াবে, বিয়ে-সাদি দিবে- দেখবে একদিন তারাই বলবে তুমি তাদের জন্য কিছুই করোনি বরং ক্ষতি করেছো! অবলীলায় তা অস্বীকার করে বলবে তাদের কারণেই তুমি ভালো আছো- খেতে, চলতে পারছো। নতুবা তুমি ভাত খেয়েও মরতে পারবেনা। অথচ এখনো তারা তোমারই করুণায় বা সহযোগিতা ছাড়া চলতে পারছেনা। এদের চাইতে শত্রুরা অনেক ভালো। কবি সেখসাদী (রহ.) বলেছেন, উপকারী ঘাড়ে লাথি খায়- কারণ উপকৃত মানুষটিরি প্রতি সে অধিক বিশ্বাস রাখায়ই এমনটি হয়।
যে সন্তানকে তুমি জীবনের সবকিছু উজাড় করে লালন করেছো- লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করার চেষ্টা করেছো- চাকরি পাইয়ে দিতে প্রাণান্ত চেষ্টা করেছো, বয়সকালে দেখবে সেই সন্তানই বলবে তার জন্য তুমি কিছুই করোনি- এমনকি তোমাকে নানা অপবাদ দিয়ে তোমার অবদানকে অস্বীকার করবে। বলবে তোমার ঔরসে জন্ম দেওয়াটাই পাপ হয়েছে। অই সন্তানটি তোমার শত্রু বা নিন্দাকারীকে এমনকি তোমার উপকারভোগী অকৃতজ্ঞ মানুষটির অথবা তোমার ক্ষতির জন্য যারপর নেই চেষ্টাকারীর সাথেই গোপনে সে উঠবস করছে- তাকে সাহায্য করছে! যদিও একদিন এই ধরণের সন্তানরা তার নিজ সন্তানের হাতেই লাঞ্ছিত হবে- ভৎসনার শিকার হবে। আর এই বাস্তবতা যে তার জীবনে আসবে বর্তমানে সে তা উপলব্দি করতে চাইবেনা।
নবী করিম (স.) বলেছেন, যে সন্তান তার পিতামাতার বিন্দুমাত্র অবজ্ঞা করে, সে সন্তান তার সন্তানের দ্বারা হাজারগুণ অবজ্ঞার শিকার হবে- এমনকি লাঞ্ছিতও হতে পারে। গরীব দেখে নিজের টাকায় বিয়ে করা স্বামীর প্রতি যে স্ত্রী কৃতজ্ঞ নয়, বরং তাঁর অবদান অস্বীকার করে- সে স্ত্রী বেহেস্তে যাইবে না! আর যে স্ত্রী তার স্বামীকে কে না জানিয়ে নিজে বা নিজের সন্তানকে দিয়ে নিজের অকৃতজ্ঞ আত্মীয়-স্বজন বা অন্যজনকে সাহায্য করে এবং অন্যের দ্বারা বা নিজের অকৃজ্ঞ আত্মীয়-স্বজন দ্বারা স্বীয় স্বামীকে অপমান করাতে চায়, সেই স্ত্রী বিনা তালাকে তালাকপ্রাপ্ত হয়ে যায়! যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী মহানবীর (স.) কথা কী তাদের জন্য পালনীয় নয়? পালন না করলে সে কি মুসলিম? নিশ্চয় নয়।
মানুষ! মানুষ কখনোই ছোট হতে চায়না। সবাই চায় তার স্ব স্ব অবস্থান থেকে নিজের ক্রেডিটকে তুলে ধরার- হ্যাঁ! এটাই চরম সত্যি। আবার অকৃতজ্ঞ মানুষরা যখন পুনরায় বিপদে পড়ে বা অই উপকারীর দরকার হয়- তখন ঠিকই পরোপকারী মানুষটির দ্বারস্থ হয়ে এমন বিনয়ী ভাব, আনুগত্যতা দেখিয়ে তোমাকে মুগ্ধ করতে চাইবে- তখন তুমি তার সবকিছু ভুলে আবারো তোমার মনে তার জন্য করুণা জাগতে পারে- কেননা তুমি যে পরোপকারী।
করুণাভোগী অকৃতজ্ঞ মানুষদের ৯৯% বহুরূপী! ওরা পশুর চাইতেও নিকৃষ্ট- এরা মুহূর্তেই নিজের খোলস পাল্টায়। নিজের সুবিধামত চলতে চায় এবং নিজেদেরকে ভালোমানুষ প্রমাণ করতে চায়। খোঁজ নিলে দেখা যাবে যে- আল্লাহপাক তাদের শাস্তি তাদের পরিবারেই দিয়ে রেখেছেন। ওরা কেউ বিপথগামী, বহুগামী এবং অন্যের ঔরসজাত সন্তানের গর্ভধারীনি মা! ডিএনএ টেষ্ট করলেই যার প্রমাণ পাওয়া যাবে। তাদের পরীক্ষা করাও সহজ- কেননা এরা ৯৯%ই মিথ্যা কথা বলে এবং নিজের কথাই সত্য প্রমাণ করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায়!
যে পিতা অন্যের সম্পত্তি দানে পেয়ে দাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনা- মৃত্যুর পর তাঁর জন্য কুলখানীও করতে চায় না- তার সন্তানরা চরিত্রহীন, বিপথগামী, বহুগামী হয়। এমনকি খোঁজ নিলে দেখা যাবে যে, তার মেয়েরা হয় অধিকাংশই চরিত্রহীন এবং স্বামীকে ফাঁকি দিয়ে অন্যের সন্তান গর্ভে ধারণ করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় আর ছেলেরা এতই অভাগা যে নিজ স্ত্রীর গর্ভে অন্যের ঔরসজাত সন্তান হয়েছে জেনেও সেই সন্তানদের নিজ সন্তান পরিচয়ে মানুষ করতে বাধ্য হয়।
আজকাল নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য অকৃতজ্ঞ লোকেরা অন্য মানুষকে বাবা বলতেও দ্বিধাবোধ করে না। এক্ষেত্রে প্রতিদান পাওয়ার প্রত্যাশায় নয় বরং নিজের দায়িত্ব, কর্তব্যবোধ থেকে মানুষের সাহায্য এগিয়ে আসা উচিত। আর নিজের মাইন্ড সেটআপ করতে হবে এমনভাবে যে- কাউকে উপকারের বিনিময়ে নিজে তার কাছ থেকে যে উপকার পাবো তার প্রত্যাশা করে নয়। তা না’হলে ভবিষ্যতে খুব কষ্ট পেতে হবে। এই চরম সত্য কথাটি যে যত দৃঢ়ভাবে হৃদয়ে ধারণ করে চলবে সে তত সহজেই মন থেকে কষ্ট দূর করতে পারবে।