মনের হিংসা আজ আগুনে দাও পুড়িয়ে ভাই, নইলে হিংসা আগুন হয়ে পূণ্য করবে ছাই। প্রিয় সুধী, হিংসা একটি মানসিক রোগ। আপনারা যারা হিংসা সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য হিংসা নিয়ে উক্তি , হিংসা নিয়ে স্ট্যাটাস , হিংসা কাকে বলে , হিংসা থেকে বাঁচার উপায় , হিংসা নিয়ে ইসলামিক উক্তি সহ হিংসা থেকে বাাঁচার দোয় ও হিংসা ও অহংকার নিয়ে স্ট্যাটাস বিস্তারিত দেয়া হলো ।
হিংসা নিয়ে উক্তি
হিংসা
* দুনিয়ার কেহ মৃত ব্যক্তির উপর হিংসা করে না, কাজেই জীবিত ব্যক্তির প্রতি হিংসা করা কর্তব্য নয়। কেননা জীবিতও একদিন মৃত হইবে। —ইমাম সাফেয়ী (রঃ)
* ইতিহাসের পাতা খুলে দেখা যায় হিংসা এর পরশ্রীকাতরতা মানুষকে মানুষের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ এবং হানাহানিতে লিপ্ত করেছে। আর ডাব্লিউ গিল্ডার
* হিংসুক লোক শত্রুর মতো নিজেকেই উৎপীড়িত করে। -ডেমোক্রিটাস <> হিংসা থেকেই অধিকাংশ কুৎসা রটিত হয়। —মারিয়া এডওয়ার্থ
* হিংসা তোমাকে ধ্বংসের শেষধাপে নিয়ে যাবে। -এইচ জি ওয়েলস
<> মরিচা লোহাকে বিনষ্ট করে দেয়, তেমনি হিংসা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। — ইবনুল খতিব
★ হিংসা দিয়ে কখনো হিংসাকে হত্যা করা যায় না, যেমন আগুন দিয়ে আগুনকে নেভানো যায় না। আগুন নেভাতে যেমন পানির প্রয়োজন হিংসাকে জয় করতে তেমন প্রেমের প্রয়োজন। —জন জুয়ান
<> তোমরা হিংসা পরিত্যাগ করো, কেননা অগ্নি যেরূপ জ্বালানী কাষ্ঠকে ধ্বংস করে হিংসা তদ্রূপ সৎগুণাবলিকে ধ্বংস করে। -আবু দাউস
<> অন্তরে হিংসা পোষণ করে অন্যের ক্ষতি করা যায় না, নিজেরই সর্বনাশ করা হয়।
-হযরত লোকমান (রাঃ)
<> এমনকি মহৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্যও আমি হিংসার আশ্রয় গ্রহণ করার ঘোর বিরোধী।
– মহাত্মা গান্ধী
* হিংসা একটা দরজা বন্ধ করে অন্য দুটো খোলে। স্যামুয়েল পালমার
হিংসুক
<> একজন হিংসুকে মহিলা তার গৃহ এবং পরিচিত পরিবেশের মধ্যে যে কোনো মুহূর্তে আগুন জ্বালাতে পারে। -পাবলিয়াস সিরাস
* হিংসুক ব্যক্তি সর্বদা তিনপ্রকার কষ্টে নিপতিত থাকে—আত্মদহন, মানুষের ঘৃণা এবং আল্লাহ্র গজব। -ইবনে মুয়াইদ
<> হিংসুক এই চিন্তাতেই শুকিয়ে যায় যে, তার প্রতিবেশী কেন সুখে আছে। মা ওয়াদ্দী
* যে কোন শত্রুর সাথে তোমার আপোষ করা সম্ভব। যতক্ষণ তুমি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে না যাও ততক্ষণ হিংসুক তোমার প্রতি প্রসন্ন হবে না। — মোয়াবিয়া
← কোনো হিংসুটে লোকের পাশে বাস করার চাইতে হিংস্র বাঘের প্রতিবেশী হওয়া অনেক
ভালো। —ইবনে হাজার
হিংসা দ্বেষ শূন্য মন, বন্ধু বিশ্বে সর্ব্বজন,
দয়ামায়া সকলের প্রতি।
শত্রু মিত্রে সমজ্ঞান, তুল্য মান অপমান,
গুরু রাম মোর পরাগতি।।
আরও পড়তে পারেন–যৌতুক নিয়ে ১৬ জন কবির ১৬টি কবিতা
হিংসা কাকে বলে এবং হিংসার পরিণতি কি?
হিংসা (حسد) বলা হয়: কারো কল্যাণ দেখে অন্তরে জ্বালা অনুভব করা এবং তার ক্ষতি করার জন্য চেষ্টা করা।
ইসলামের দৃষ্টিতে এটি গুনাহের কাজ ও নিন্দনীয় বিষয়।
✪ আল্লাহ তাআলা বলেন:
ﺃَﻡْ ﻳَﺤْﺴُﺪُﻭﻥَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﻋَﻠَﻰٰ ﻣَﺎ ﺁﺗَﺎﻫُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣِﻦْ ﻓَﻀْﻠِﻪِ
“নাকি আল্লাহ দয়া করে মানুষদেরকে যা দান করেছেন সে বিষয়ে এরা কি তাদেরকে হিংসা করে।” (সূরা নিসা: ৫৪)
✪ রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“তোমরা পরস্পর হিংসা করো না।
– একে অপরের জন্য নিলাম ডেকে দাম বাড়াবে না।
– পরস্পর বিদ্বেষ পোষণ করো না।
– একে অপর থেকে আলাদা হয়ে যেও না বা সম্পর্ক চ্ছেদ করো না।
– একজনের ক্রয়ের উপর অন্যজন ক্রয় করো না।
– হে আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা পরস্পর ভাই ভাই হয়ে যাও।
– মুসলিম মুসলিমের ভাই,
– সে তার উপর জুলুম করে না
– তাকে সহায়-সঙ্গী হীনভাবে ছেড়ে দেয় না।
– সে তার কাছে মিথ্যা বলে না
– ও তাকে অপমান করে না।
– তাকওয়া হচ্ছে- এখানে- তিনি নিজের বুকের দিকে তিনবার ইশারা করেন।
– কোন মানুষের জন্য এতটুকু মন্দ যথেষ্ট যে, সে আপন মুসলিম ভাইকে নীচ ও হীন মনে করে।
– এক মুসলিমের রক্ত, সম্পদ ও মান-সম্মান অন্য মুসলিমের জন্য হারাম।”
[মুসলিম: ২৫৬৪]
প্রকৃতপক্ষে হিংসা অত্যন্ত নিচু মানসিকতার পরিচায়ক ও নোংরা চরিত্রের বর্হিপ্রকাশ। হিংসুক সামাজিকভাবেও ঘৃণার পাত্র। সে নিজেই নিজের শত্রু। সে কখনো মানসিকভাবে শান্তি পায় না। সে অন্যের কল্যাণ দেখে অন্তরজ্বালায় দগ্ধ হতে থাকে। আল্লাহ তাআলা সূরা ফালাকে হিংসুকের হিংসা থেকে আশ্রয় চাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।
(আল্লাহর নিকট হিংসুক থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।)
হিংসা নয়; ঈর্ষা করুন:
কারো কল্যাণ ও ভালো কিছু দেখে তার ক্ষতির চিন্তা না করে তার অনুরূপ বা তার চেয়ে বেশি কল্যাণ প্রত্যাশা করা এবং তা অর্জনের চেষ্টা-সাধন করাকে ঈর্ষা (غبطة) বলা হয়।
হিংসুকদের হিংসা থেকে বাঁচার উপায়
সবচেয়ে নির্বোধ ও ব্যর্থ লোকেরাই হিংসুক হয়। তারা অন্যের সাফল্য সহ্য করতে পারে না। তখন নানা বাজে কথা ও হিংসাত্মক মন্তব্য ছুড়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে। কিন্তু সফল ও বিচক্ষণ ব্যক্তিরা এ সব হিংসুক ও বিদ্বেষীদের থেকে আত্মরক্ষার পদ্ধতি অবলম্বন করে সামনে এগুতে থাকে। আল্লাহর দয়ায় কোন কিছুই তাদেরকে দমাতে পারে না।
এখানে হিংসুক লোকদের বিষাক্ত তীর সদৃশ কথা ও সমালোচনার আঘাত থেকে আত্মরক্ষার চারটি পদ্ধতি তুলে ধরা হল:
❒ ১) উত্তেজিত হবেন না; নিজ কর্তব্যে অবিচল থাকুন:
– হিংসুক ও বিদ্বেষপরায়ণ লোকদের কথায় উত্তেজিত হবেন না বরং নিজ গতিতে দৃঢ়তা ও সতর্কতার সাথে পথ চলা অব্যহত রাখুন।
মনে রাখবেন, রেগে গেলে নিশ্চিতভাবে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
সুতরাং রাগ যেন কোনভাবেই আপনার উপর প্রভাব বিস্তার করতে না পারে।
– হাসুন। হাসি এক বিস্ময়কর যাদু; যা রাগের আগুনকে নিভিয়ে দেয়।
– ধৈর্য ধরুন। কেননা, ধৈর্যশীলদের সাথে আল্লাহ আছেন।
– আউযুবিল্লাহি মিনাশ শয়তানির আজিম (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি) পাঠ করুন।
– আর হিংসুকদের হিংসা আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করুন।
❒ ২) পাত্তা দিবেন না:
হিংসুকদের সমালোচনা ও তির্যক মন্তব্যে পাত্তা দিবেন না।
কেননা কথা দিয়ে রাজপ্রাসাদ ভাঙ্গা যায় না। কথা বলে কঠিন দুর্গের দেয়াল ধ্বংস করা যায় না। সুতরাং যারা জীবনে সফলতা অর্জন করেছে হিংসুকদের কথা-বার্তা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
তাই এ সব লোকদের কথার মূল্য দেয়া উচিৎ নয়। ওসব কথা নিয়ে ভেবে সময় অপচয় করাও অনর্থক। বরং আপনি সঠিক কাজটি নিজের মত করে যান। আল্লাহর উপর সুদৃঢ় আস্থা রাখুন এবং তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি আপনাকে হিংসুকদের গাত্রদাহ সত্যেও অনেক দূর এগিয়ে নিবেন ইনশাআল্লাহ।
❒ ৩) আপনিই সেরা:
আপনি নিশ্চয় এ সব লোকদের চেয়ে চারিত্রিক দিক দিয়ে সেরা, কর্ম ক্ষেত্রে এগিয়ে আর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের দিক দিয়েে অধিক শক্তিশালী। পিতামাতার সেবা, পরোপকার, সমাজ কল্যাণ সহ নানা সৎকর্মে আপনি অগ্রগামী এবং জীবনের নানা প্রতিযোগিতায় সফল।
আপনার মধ্যে এসব আকর্ষণীয় গুণাবলী না থাকলে তো হিংসুকরা আপনাকে নিয়ে ভাবতো না। আপনার সাফল্যে এদের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঘটতো না।
সুতরাং এতেই পরিষ্কার হয় যে, আপনি তাদের চেয়ে অধিক মর্যাদা সম্পন্ন।
অত:এব, আপনি আরও দৃঢ়প্রত্যয়ে আপনার গুণাবলীগুলোকে সমৃদ্ধ করতে থাকুন। তাহলে দেখবেন, এরা নিজেরাই নিজেদের হিংসার আগুনে জ্বলে-পুড়ে শেষ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
❒ ৪) কাজ করুন এবং উন্নয়ন চেষ্টা অব্যাহত রাখুন:
এ সব বিদ্বেষপরায়ণ ও হিংসুকদের সবচেয়ে বড় জবাব হল, আপনি আপনার চারিত্রিক সৌন্দর্য, অধ্যাবসা ও পরিশ্রম বৃদ্ধি করুন। আল্লাহর প্রতি ঈমানী দৃঢ়তা বাড়ান। আরও বেশি পরিমাণ কল্যাণকর কাজ আঞ্জাম দিন এবং জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন। এটাই হবে তাদের উপযুক্ত জবাব। প্রমাণিত হবে হিংসুকদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। সেই সাথে বাড়বে আপনার ব্যক্তিত্বের পরিপক্বতা এবং জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার মানসিক শক্তি।
আল্লাহ তাওফিক দান করুন।
(মোটিভেশন মূলক আরবী প্রবন্ধ অবলম্বনে রচিত)
————————
গ্রন্থনায়: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব
বদ নজর, হিংসা থেকে বাঁচার দোয়া
আউজুবিকালিমা’তিল্লাহিত্তা’মা’তি মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লা’ম্মাতিন।
অর্থঃআমি আল্লাহ তায়ালার নিকট,আল্লাহ তায়ালার পরিপূর্ণ বাক্যের মাধ্যমে আশ্রয় প্রাত্থনা করছি,সকল ধরনের শয়তান থেকে ও সকল ধরনের বিষধর প্রানী থেকে এবং সকল ধরনের বদ নজর থেকে।
[বুখারী শরীফ,হাদীস নং-৩২৫৯]
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস(রা.)থেকে বর্নিত,রাসূল সাঃ হাসান(রা.)ও
হুসাইন(রা.)এর জন্য এবং হযরত ইব্রাহিম(আ.)ইসমাইল(আ.)ও ইসহাক(আ.)এর জন্য এই দোয়া পড়তেন।
[সহীহ হাদীস,বুখারী শরীফ]
হিংসা ও অহংকার নিয়ে স্ট্যাটাস
মনের মথ্যো রাগ হিংসা অহংকার লোভ,
ঘৃনা পুষে রাখার মত মানুষ আমি নই _!
আমি ক্ষমা ছাইতেও জানি,
আর ক্ষমা করে দিতেও জানি_!
যে আমার সাথে সম্পর্ক রাখতে চায়না,
তার সাথে সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করতে’ও জানি _!
আবার অনেক চেষ্টা করার পরেও, যে সম্পর্ক অপর পক্ষের মানুষ’টি জোড়া লাগাতে চায়না,
তার থেকে চিরতরে দূরে থাকতে’ও জানি_!
___ভালোবেসে যত্ন করতে জানি,
___আগলে রাখতে’ও জানি,
নিলিপ্ত যন্ত্রণা অবহেলা সহ্য করে’ও
মানুষকে ক্ষমা করে’ও দিতে জানি_!
হুম.
আমি সত্যের পথে থেকে সততা বজায় রাখতে জানি_!
আমি সময়ের কাছে সকল পরিস্থিতি ছেড়ে দিতে জানি,
কারন.
আমি সব সময় সত্যের পথে চলার চেষ্টা করি_!
___তাই সময় বলে দেবে, কে কাকে হারিয়েছে,
___আর কে কাকে হারালো “”
ভয়ংকর হিংসাত্মক পরিস্থিতির শিকার হতে চলেছে এই সময়কার মানুষগুলো,
কিছুই সহ্য করতে পারে না তারা স্বামী, সন্তান, শাশুড়ীর সাথে ভালো সম্পর্ক
নিজেকে ঘুটিয়ে ফেলা ছাড়া আর উপায় দেখছি না,
বদনজর কবরে নিয়ে যেতে পারে
সবাই নিজেদের পিকচার এর সাথে মাশাআল্লাহ লিখবেন,
অপরিচিতরা সুন্দরভাবে নিলে ও পরিচিতরা এমন করছে যে এসব তাদের ভাগের
এর নিজেরা তো ভয়ানক ক্ষতির দিকে নিশ্চিত কিন্তু যাদের সাথে হিংসা করছে তাদের অবস্থা,,,,,,
সবাই যারা ভ্লগ, ভিডিও এবং ভালো মোমেন্ট শেয়ার করেন তারা বদনজর থেকে বাচার দোয়া করবেন সকাল ও সন্ধ্যা
প্রতিহিংসা নিয়ে উক্তি
প্রতিহিংসা নয়, প্রতিযোগীতাই হোক নেতৃত্ব নির্বাচনের মূল হাতিয়ার।
একজন মানুষের মাঝে যদি সঠিক নেতৃত্বের গুণাবলী থাকে ,
তাহলে তিনি অনেক বড় অর্জনের দিকে নিয়ে যেতে পারেন।
নেতৃত্বের উক্তি দুর্বলের বুকে সাহস যোগায়, অবিশ্বাসীর মনে জন্ম দেয় বিশ্বাসের।
মানুষ একা কিছু করতে পারে না। একজন মানুষের স্বপ্ন যত বড় ,
তার কর্তব্যও তত বড় হতে হয়। একজন সত্যিকার নেতা তাঁর নিজের স্বপ্ন ছড়িয়ে দিতে পারেন বহু মানুষের মাঝে
“অন্যে কি ভালো কাজ করলো তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে, প্রতিহিংসা, চাপাবাজি করে কোনো লাভ নেই। তুমি নিজে কি ভালো কাজ করতে পারো-সেটা করে সমাজকে, দেশকে, জাতিকে, জগতকে দেখাও।”
– এ, কে, মন্ডল
হিংসা নিয়ে স্ট্যাটাস
এইদিকে আমাকে হিংসা করতে করতে তোমরা নাওয়া খাওয়া ভুলে যাচ্ছ। মনে রাখো তোমাদের স্ট্যাটাস আর আমার স্ট্যাটাস কিন্তু সেম না। আরো ১০বার জন্মালেও তোমরা আমার ব্যাকগ্রাউন্ড এ আসতে পারবানা।।। always আমার পিছেই কুকুরের মত ঘেউ ঘেউ করবা ।
By the way এটা আমার অহংকার না, অহংকার করলে আজকে আমার গলা উচুঁ থাকতো আর তোমার গলা নিচু থাকতো।
মানুষ যাকে নিয়ে হিংসা করে,
সেই সবচেয়ে বেশি এগিয়ে যায়।
আল্লাহ সবাইকে বুঝার তাওফিক দান করুন।
ব্যর্থ মানুষকে নিয়ে হাসাহাসি করা! আর সফল মানুষকে নিয়ে হিংসা করার নাম’ই সমাজ!
আগে ঈদের ছুটিতে মানুষ নদীর পাড়ে ঘুরতে যেতো, দাদাবাড়ি যেতো।কেউ কেউ স্বপ্নপুরী যেতো শুনতাম।
আর এখন দেখছি দার্জিলিং, রাজস্থান, নেপাল, শিলিগুড়ি, মালদ্বীপ!
সামনের ঈদে মঙ্গল গ্রহে যাবে সবাই, আর আমি এই তীব্র গরমে এক বালতি হিংসা নিয়ে আবার একটা স্ট্যাটাস দিবো
“যদি তোমার একটা সুস্থ শরীর থাকে, তবে,
খোদার কাছে আর কোন বিষয়ে অভিযোগ কর না”।
চারপাশে মানুষের এত হিংসা, লোভ লালসা দেখে ভাবি দিনশেষে সবকিছু ছেড়ে যেতে হবে।
একটা সুস্থ শরীর, সুস্থ মন থাকলে আর কিছু দরকার আছে?
আরও পড়তে পারেন–ফুল নিয়ে ক্যাপশন , ফুল নিয়ে কবিতা , ফুল নিয়ে উক্তি, ফুলের শুভেচ্ছা
হাই রে মানুষ,কি আর বলব, আসলে কি
সমাজ কখনোই মূর্খ মানুষের দ্বারা নষ্ট হয় না। সমাজ ত নষ্ট হয় কিছু কুলাঙ্গার পয়দা শিক্ষত
মানুষের মূর্খ আচরণের দ্বারা। বর্তমান সমাজের
মানুষ হলো ব্যার্থ মানুষ কে হাসাহাসি করা আর সফল মানুষ কে নিয়ে হিংসা করা
আসলে শিক্ষিত অশিক্ষিত মানুষের গায়ে লেখা
থাকে না।
কাউকে অপমান বা আঘাত করা উচিৎ নয়, তাই সমাজেপ্রতিটি মানুষ কে সম্মান করা
প্রতিটি মানুষের কর্তব্য।।
আমি ফেইসবুক লেখা লেখি স্ট্যাটাস
দেই না
কিন্তু মানুষের আচার আচরন খারাপ দেইখা
লেখা গুলো বাধ্য করল আমাকে
ফেইস টু ফেইস
আই টু আই
থাকে না।
আরও পড়তে পারেন-প্রেমের কবিতা , ভালোবাসার ছন্দ , প্রেমের ছন্দ , ভালোবাসার স্ট্যাটাস
যিনি সর্বতভাবে হিংসা পরিত্যাগ করেন, নিস্কাম হয়ে ধর্মানুষ্ঠান করেন, অভিমান ত্যাগ করে পিতা-মাতা ও গুরুজনদের সেবা করেন, আর কামনাশূন্য হয়ে স্নেহের সাথে সকলের প্রতি সমভাবে কৃপাদৃষ্টি নিক্ষেপ করেন, আমি তাঁকেই সাধু বলে সন্মান করে থাকি।
হিংসা নিয়ে ইসলামিক উক্তি
রাগ, হিংসা, অহংকার –
সবসময় ধ্বংস ডেকে আনে।
দুনিয়ার জীবনে যেমন এর ক্ষতিকর প্রভাব আছে, পরকালেও এসবের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি!
★ সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হবে আপনার নিজের।
আপনি যখনই কারো সাথে রাগ, হিংসা, অহংকার করবেন, দেখবেন আপনি মানসিকভাবে অশান্তিতে থাকবেন। এরচেয়ে বড় শাস্তি আর কি হতে পারে!
.
রাগ সম্পর্কে রাসূলে কারীম ﷺ বলেছেন,
রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে।
(মিশকাত:৫১১৩)
★ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় এসেছে,
রাগ হলো শয়তানের কুমন্ত্রণা এবং কুপ্রভাব।
তাই শয়তানের কুপ্রভাবেই মানুষ রাগান্বিত হয়।
———- (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৭৭৬)
★ এক ব্যক্তি নবী ﷺ এর কাছে আবেদন করলো , আমাকে কিছু উপদেশ দিন।
তিনি বললেনঃ তুমি রাগ করবে না।
লোকটি কয়েকবার একই কথা পুনরাবৃত্তি করল।
রসূল ﷺ প্রত্যেক বারই বললেনঃ তুমি রাগ করো না।
——————- (মিশকাত:৫১০৪)
.
হিংসা সম্পর্কে রাসূলে কারীম ﷺ বলেছেন,
তোমরা পরস্পর হিংসা করো না।
————— (বুখারী:৬০৬৪)
★ কোনো মুমিন বান্দার হৃদয়ে ঈমান ও হিংসা একত্রে থাকতে পারে না।
—————- (হাদিস সম্ভার:২১৮৯)
.
আর অহংকার নিয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
যার অন্তরে অণু পরিমাণও অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। অহংকার হচ্ছে সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা ও মানুষকে তুচ্ছজ্ঞান করা।
—————— (হাদিস সম্ভার:২০৩৪)
মহান আল্লাহ আমাদের রাগ, হিংসা, অহংকারমুক্ত জীবনযাপন করার তাওফিক দিন এবং ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করুন,আমীন।
আরও পড়তে পারেন–মায়ের স্মৃতি , এক এক করে হারিয়ে গেলো ছয় ছয় ছয়টি বছর
হিংস্যা ও অহংকার নিয়ে কবিতা
….আলানূর হোসাঈন
সাদা কালো ধনী গরিব
কীসের অহংকার ,
একই মায়ের সন্তান আমরা একটি পরিবার।।
আমরা একটি পরিবার।।
একটি ফুলে পাপড়ি যেমন
থাকে মিলে মিশে,
আমরা তেমন পাপড়ি সম
রয় ভেদাভেদ কিসে।।
মিলেমিশে থাকা ভাইরে সবার অধিকার।।
একটি পরিবার আমরা একটি পরিবার।।
দুষমনেরা হানলে আঘাত
আমরা রুখে দেব,
অসহায় ঐ গরিব দুঃখী
বুকে টেনে নেব।
আমরা বুকে টেনে নেব।
জীবন যুদ্ধে করব লড়াই ভয় নেই হারাবার।।
একটি পরিবার আমরা একটি পরিবার।।
অহংকার পতনের মূল
……মোঃআলানূর হোসাঈন
অসীম পূণ্য করিবার পরে
ওস্তাদ হলেন ফেরেস্তার ।
হংকারে তার পূণ্য বিনাশ
নিকৃষ্ট আজ দুনিয়ার ।
কামনার ফল পূর্ণ হল
যাহার অসীম করুনায় ।
রলাম ভুলে হংকারে আজ
পেয়ে খ্যাতি জগতময় ।
পাণ্ডিত্য আমি করছি জাহির ,
মূর্খ ভাবি বাদ বাকি ।
তপস্যাতেও ক্ষুদ্র অহং
পূণ্য মোদের হয় মাটি ।
নেভাই মনের সকল রিপু
সবার সাথে যাই মিশে ।
রক্ত সবার লাল দেখ ভাই
মরলে মাটি খায় শেষে ।
মূলে নাপাক এক ফোটা জল,
সৃষ্টির সেরা মানুষ সব।
লব্ধ জ্ঞানে সঙ্গোপনে ,
সিজদায় জপ প্রিয় রব।।