বাংলা বর্ণমালার ছড়া
. (নার্সারি+কেজি ওয়ান)
স্বরবর্ণের ছড়া:
অ-অজু
অজু করে নামাজ পড়ো
ফুলের মতো জীবন গড়ো,
সত্যি তুমি সবার মাঝে
অনেক অনেক হবে বড়ো।
আ-(আজান)
আজান হলে মসজিদে যাও
ভক্তি ভরে সিজদাটা দাও,
আল কোরানের ভালোবাসা
মনের মাঝে নাও ভরে নাও।
ই-(ইসলাম)
ইসলাম মানে শান্তিবাণী
মহান রবের মেহেরবানী,
ইহকাল আর পরকালের
মুক্তিবিধান সেটাই জানি।
ঈ-(ঈদ)
‘ঈদ মানেতো খুশির দোলা’
হাসি মুখে দুঃখ ভোলা,
ঈদ মুবারক আলিঙ্গনে
সবার মাঝে হৃদয় খোলা।
উ-(উট)
উট চলেছে কাবার পানে
মহান রবের জিকির গানে,
উট হলো যে মরুর জাহাজ-
উটকো কথার নেইতো মানে।
ঊ-(ঊর্মি)
ঊর্মি দোলায় সাগর দোলে
উথাল পাথাল কলরোলে,
ঊষাকালের পাখির গানে
মনটা আমার দুঃখ ভোলে।
ঋ-(ঋণ)
ঋণ করো না মনের ভুলে
সাজাও জীবন ফুলে ফুলে,
ঋণ শুধিতে নাও গো হাতে
কাস্তে কোদাল শাবল তুলে।
এ-(একক)
একক অশেষ আল্লাহ রহীম
তিনি গাফুর তিনিই মহীম,
তার করুণার নেই সীমানা
তাইতো তিনি অসীম করীম।
ঐ-(ঐক্য)
ঐক্য গড়ে বিভেদ তাড়াও
হেরার পথে কদম বাড়াও,
তাওহীদেরই নিশান তুলে
সুপ্ত যতো বিবেক নাড়াও।
ও-(ওজন)
ওজনে কেউ কম দিয়ো না
পরের জিনিস কেউ নিয়ো না,
ওজন হবে পাপ ও নেকীর-
পাপের পথে পা দিয়ো না।
ঔ-(ঔষধ)
ঔষধ খেলে অসুখ সারে
রবকে ডাকো বারে বারে,
তিনি মালিক তিনিই খালিক
ডরাও তুমি আবার কারে!
********************************
——আপনার আদরের সন্তানকে গড়েতুলতে পড়ুন—- শিশু কিশোর বিষয়ক অণুভাবনা——–
ব্যঞ্জন বর্ণের ছড়া: ক খ বর্ণমালা
“”””””””””””””””””””””””””
ক-(কলম)
কলম দিয়ে কেতাব লিখি
আঁকা আঁকি করতে শিখি,
অনেক বড়ো হবোই হবো
কোরান হাদীস পড়লে ঠিকই।
খ-(খলিফা):
খলিফাদের রাস্তা ধরে
চলো পথিক রাত্রি ভোরে,
খারাব পথে পা ফেলো না
লোভ লালসা খ্যাতির ঘোরে।
গ- (গজব):
গজব থেকে মুক্তি খুঁজি
অর্থসহ কোরআন বুঝি,
গহীন রাতে মোনাজাতে
দুহাত তুলে দুচোখ বুজি।
ঘ-(ঘড়ি):
ঘড়ি দেখে সময় জানি
গ্রহণ করি আহার পানি,
গাধা ঘোড়ায় হয় না কোথাও
সমান সমান টানাটানি।
ঙ-(রঙ):
রঙধনুতে রঙের মেলা
সাতটি রূপে করছে খেলা,
সবুজ মাঠ রূপ অপরূপ
দেখে দেখে যায় যে বেলা।
চ-(চন্দ্র):
চন্দ্র তারার আলোর বানে
দূর অজানায় মনকে টানে,
চড়ুই চিল আর চন্দনাটাও
শিস দিয়ে যায় কানে কানে।
ছ-(ছবি):
ছবি আঁকি রঙ তুলিতে
স্মৃতি হয়ে থাক ঝুলিতে,
সৃষ্টি প্রভুর যায় না ভোলা-
যতো বারই চাই ভুলিতে।
জ-(জবা):
জবা ফুলের মিষ্টি হাসি
আমরা সবাই ভালোবাসি,
জয় করে নেই জগৎ জীবন
জ্যোতির বানে কালো নাশি।
ঝ-(ঝরণা):
ঝরনা নামে পাহাড় বেয়ে
আহাদ আহাদ গজল গেয়ে,
ঝরোঝরো ঝরনা নদী
থামছে বলো কোথায় যেয়ে!
ঞ-(মিঞা):
মিঞা বাড়ি অনেক দূরে
পালকি চলে গানের সুরে,
গরুর গাড়ির দিন গিয়েছে
স্মৃতি জাগেই ঘুরে ঘুরে।
ট-(টগর):
টগর বেলীর সুবাস ভালো
দাও তাড়িয়ে মনের কালো,
জুঁই চামেলীর গন্ধ মাখো
হেরার অরূপ প্রদীপ জ্বালো।
ঠ-(ঠক):
ঠকের কথায় কান দিতে নেই
লোভে পড়ে মান দিতে নেই,
ঠুনকো কাজে ব্যস্ত যে জন
ঠকে ঠিকই যাবেই তো সেই।
ড-(ডাব):
ডাবের ভেতর মিষ্টি পানি
আল্লাহ পাকের সৃষ্টি জানি,
পাহাড় সাগর দেখো তুলে
ডাগর চোখের দৃষ্টিখানি।
ঢ-(ঢাকনা):
ঢাকনা দিয়ে খাবার ঢাকো
ঢাকার ছবি জলদি আঁকো,
যেমন করে ডাকার কথা-
তেমন করেই রবকে ডাকো।
ণ-(ণত্ববিধি):
ণত্ববিধির নিয়ম শিখি
শুদ্ধ করে বানান লিখি,
চেষ্টাতে হয় সাফল্য যে
পরিশ্রমে মুক্তি ঠিকই।
ত-(তওবা):
তওবা করো খাস নিয়াতে
নাজাত পাবে কিয়ামাতে,
তখন তোমার ভরবে হৃদয়
ফিরদাউসের নিয়ামাতে।
থ-(থলে):
থলের ভেতর মোহর নড়ে
ঘাঁসের ডগায় শিশির পড়ে,
জোয়ার ভাটায় নদীর জীবন
একূল ভাঙে ওকূল গড়ে।
দ-(দয়া):
দয়া করো হৃদয় খুলে
আপন এবং পরকে ভুলে,
ভালোবেসে গরীব দুঃখী
নাও দয়ালু বক্ষে তুলে।
ধ-(ধনী):
ধনী করে ধনের বড়াই
বড় হবার মিথ্যে লড়াই,
কে বলোতো আসল ধনী
তার কথা কী সত্যি পড়াই!
ন-(নবী):
নবী রাসূল মানুষ সেরা
বোঝে নাতো নিন্দুকেরা।
নষ্ট পথে পা বাড়ালে
সহজে আর যায় না ফেরা।
প-(পশু):
পশু পাখি রবের সৃষ্টি
তার হুকুমে হয় যে বৃষ্টি,
পথেঘাটে রূপের বাহার
দেখলে খোলে সবার দৃষ্টি।
ফ-(ফল):
ফলটা খেয়ে শুকর করো
আল কোরানের পথটি ধরো,
আমীর ফকীর নেই ভেদাভেদ
ফুলের ঘ্রাণে হৃদয় ভরো।
ব-(বই):
বই হলো যে বন্ধু খাঁটি
মনকে বানায় পরিপাটি,
বুকটা করে জোছ্না ধোয়া
সবুজ ঘাঁসের শীতলপাটি।
ভ-(ভয়):
ভয় পেয়ো না পথের বাঁকে
বিপদ আপদ যতোই থাকে,
সত্য সাধক পায় নাতো ভয়
জুলুম শোষণ মরণটাকে।
ম-(মদিনা):
মদিনাতে মন যেতে চায়
মোহাম্মাদের গান গেয়ে যায়,
মক্কাগামী ক্লান্ত পথিক
মরুভূমির পথ খুঁজে পায়।
য-(যব):
যবের আটায় বানাও রুটি
চেপে ধরো ক্ষুধার টুটি,
তৃপ্ত হয়ে নাও জেনে নাও
যাকাত দ্বীনের শক্ত খুঁটি।
র-(রহমত)
রহমত নিয়ে রোজা আসে
আনন্দে মন হৃদয় হাসে,
যায় যে খুলে রাইয়্যান দুয়ার-
রবের রহম কষ্ট নাশে।
ল-(লক্ষ):
লক্ষ কোটি চাই না টাকা
বড় হবার লক্ষ্য পাকা,
লাভ ক্ষতিকে নেই পরোয়া-
আছে দূরের স্বপ্ন আঁকা।
শ-(শহীদ):
শহীদ হলে হাসি মুখে
পরকালে থাকবে সুখে,
শাহাদাতের মরণ ভালো
পথ ছেড়ো না কষ্ট দুঃখে।
ষ-(ষড়ঋতু):
ষড়ঋতুর রঙের তুলি
মনের দুচোখ দেয়যে খুলি,
কদম কেয়ার আলিঙ্গনে-
পাতা ঝরার কষ্ট ভুলি।
স-(সত্য):
সত্য কথা বলতে হবে
সরল পথে চলতে হবে,
হতে হবে সবুজ পাখি-
স্বপ্ন জাগাও অনুভবে।
হ-(হাদীস):
হাদীস পড়ো কোরান শেষে
সুবাস ভরো মনের দেশে,
হক্ব হালালে জীবন গড়ো
দুদিনের ঐ পথিক বেশে।
ড়-(ঝড়):
ঝড় তুফানে ভয় পেয়ো না
কারো কাছে ঋণ চেয়ো না,
মুখর হবে জীবন তোমার
আঁধার পথে আর যেয়ো না।
ঢ়-(আষাঢ়):
আষাঢ় মাসে মেঘের খামে
পাতায় ফুলে বৃষ্টি নামে,
দৃষ্টি বাড়ায় কদম কেয়া
চমকে যেন সৃষ্টি থামে।
য়-(ক্ষয়):
ক্ষয় হয়ে যায় পাথর মাটি
বুকটা করো শীতল পাটি,
ক্ষমা করাে উদারভাবে-
ইমানটা হোক নিরেট খাঁটি।
ৎ-(সৎ):
সৎ মানুষের মহৎ কাজে
নতুন করে জীবন সাজে,
সৎ পথে হোক লেনাদেনা
হঠাৎ দূরের সানাই বাজে।
#ং-(সংখ্যা):
সংখ্যা দিয়ে অংক কসি
রংধনুতে রং এর রশি,
বাংলা আমার ভালোবাসা
রং দিয়ে তার আঁকতে বসি।
#ঃ-(দুঃখ):
দুঃখ ব্যথায় অটল থাকি
নতুন দিনের স্বপ্ন আঁকি,
নিঃস্ব জনের দুঃখ মুছে
নতুন পথে চলতে ডাকি।
#ঁ-(চাঁদ):
চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে
রবের নামে শির লুটেছে,
কাঁদামাটির পুতুল ফেলে
খুঁজতে তাঁকে মন ছুটেছে।
বর্ণমালা, বর্ণমালা, বর্ণমালা, বর্ণমালা, বর্ণমালা, বর্ণমালা,
২৭সেপ্টেম্বর-২০১৮
নরসিংদী।
(পরিমার্জন: ২৯-৩০/৯/১৮)